দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তৈরি করা ‘অনুপ্রবেশকারী তালিকা’ নিয়ে খুলনা আওয়ামী লীগে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। অনেক নেতাই বিস্মিত হয়েছেন তালিকা দেখে। অনেকে এ নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও দু-একজন মুখ খুলেছেন, তবে সতর্কভাবে। কেউ কেউ বলেছেন, অনুপ্রবেশকারী তালিকা নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন, তবে সব কিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। এখন সবাই পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। জেলার অনুপ্রবেশকারী তালিকায় পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নাম থাকায় সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেলিম জাহাঙ্গীর ইসলামি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মা এখনো জামায়াতে ইসলামীর পাইকগাছা শাখা কমিটির রুকন। ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাইকগাছা শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভায় সেলিম জাহাঙ্গীরসহ একাধিক ব্যক্তি আনুষ্ঠানকিভাবে দলে যোগ দেন। এসব নেতার প্রশ্ন, তিনি কী করে অনুপ্রবেশকারী হলেন? তিনি তো লুকিয়ে কোনো নেতার হাত ধরে আচমকা আওয়ামী লীগার বনে যাননি!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, দলে কি নতুন কেউ আসতে পারবে না! অনেকেই দলত্যাগ করে নতুন দলে যায়। এটা তো স্বীকৃত একটি প্রথা। ফলে অনুপ্রবেশকারী বলতে আমরা কী বোঝাতে চাই, তা পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগ পাইকগাছা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহম্মদ আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারী তো সেই, যে চুপি চুপি কোনো নেতার মাধ্যমে দলে ভিড়ে আচমকাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু যে, যিনি বা যারা দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রেখে দলে যোগ দেয়, সে তো অনুপ্রবেশকারী নয়। আর সেলিম জাহাঙ্গীর তো শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।