তৃতীয়বারের মত বহিষ্কারের মুখে পড়েছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আমির হোসেন। স্ত্রী সোনিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শ্বশুর যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ কারণে পেশাগত অসদাচরণ, সংগঠনের সুনামক্ষুন্ন ও গঠণতন্ত্র বিরোধী কাজে জড়িত থাকায় কেন তার সদস্য পদ বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে তাকে। পত্র প্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট এ কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের আলোচিত আইনজীবী আমির হোসেন দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী সোনিয়া খাতুনকে মারপিট করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট মঙ্গলবার তাকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন। নারী গঠিত একাধিক মামলা এবং শৃংখলা বিরোধী আইন পেশার অসদাচরণ ও মর্যাদাহানিকর কাজে জড়িত থাকায় তিনি আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন। এজন্য তাকে এ কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এরআগে ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল তাকে আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মত সাময়িক বহিস্কার করা হয় আইনজীবী আমির হোসেনকে। স্ত্রীর অধিকারে নুরনাহার রানু নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।