চট্টগ্রাম মডার্ণ স্কুল শুরুতেই সাফল্য এবং খ্যাতি পেয়েছে। এখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, যোগ্য পরিচালনা পরিষদ ও অভিজ্ঞ শিক্ষমন্ডলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানের কারণে খুব অল্প সময়ে বিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কারণে অভিভাবকরাও কোন টেনশন করতে হয়না। ধনী-গরীব সবার সন্তানেরা ওই বিদ্যালয়ে পড়তে নানান সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে স্থানীয় এলাকাবাসী এমন স্কুল চালু হওয়ায় বেশ খুশি।
একাধিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম হালিশহরের এ ব্লক বাদামতলীতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে সুবিশাল পরিসরে গড়ে উঠেছে ‘চট্টগ্রাম মডার্ণ স্কুল’। শহরের যে কোন জায়গায় এখান থেকে যাতায়াত করতে শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যাই নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। এটি প্রতিষ্ঠার ২য় বর্ষে পদাপর্ণ করেছে। এরইমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসিতে ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। এতে অভিভাবক এবং এলাকাবাসী সবাই খুশি। এই বিদ্যালয়ের আলাদা বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে- বিদ্যালয়ের বিশাল আকারের সুন্দর পরিবেশ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, সিসি ক্যামেরা দ্বারা পাঠদান মনিটরিং, প্রয়োজনীয় হ্যান্ডনোট প্রদান, অ্যাটেন্ডেন্স মেশিন দ্বারা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অভিভাবকদের নিকট নিশ্চিত করা,
অভিভাবকদের সাথে একাধিক মত বিনিময় সভা, আবাসিক/অনাবাসিক ও ডে-কেয়ারের সুবিধা, একই মায়ের একাধিক সন্তানদের বিশেষ সুবিধা, সরকারি বৃত্তিপ্রাপ্তদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এ ছাড়া সকল জাতীয় দিবসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং সুষ্ঠু বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে ক্যাম্পাসেই। প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে সীমিত টিউশন ফি নিয়ে পাঠদান চলছে। কোন প্রকার ভয়-ভীতি না দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দের মাধ্যমে হাতে কলমে পাঠদানে ব্যস্ত থাকেন শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন উপস্থিতিও সর্বাধিক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল জলিল এফএনএসকে বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতিই উন্নতি লাভ করতে পারেনা। তবে সেই শিক্ষা হতে হবে সুশিক্ষা। প্রতিটি শিশুই একটি সম্ভাবনা। অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে যথাযথ পাঠদান, আদর্শ এবং নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আমরা পড়ালেখার উন্নত পরিবেশে সেই সুশিক্ষাই দিচ্ছি। এখানে ধনী-গরীব সবার সন্তানেরা পড়ার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন। দুর্বল এবং প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য স্পেশালভাবে পাঠদান করা হয়। ওদিকে একই বিদ্যালয়ের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়েই আমরা আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিদ্যালয় চালু করেছি আদর্শ সন্তান গড়ে তোলার জন্য। মানুষের সেবা করার জন্য। অভিভাবকদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। অভিভাবকদের বলবো-আপনারা একবার হলেও ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখুন। এই বিদ্যালয়টির আরো সুনাম বাড়াতে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সকলের সার্বিক সহযোগিতা চাই।