পিরোজপুরের কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গত দুই দিন টানা বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচলও ছিল অনেক কম। ২০০৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের কথা মনে করেই তাদের মধ্যে এ আতঙ্ক।
ইতোমধ্যে নিরাপত্তার জন্য কাউখালী নৌ-বন্দরে অর্ধ-শতাধিক জাহাজ এসে নোঙ্গর করেছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কাউখালী উপজেলায় ১১টি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনগন কে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসনের লোকজন দুই দিন ধরে মাইকিং করে প্রচারনা চালাচ্ছেন। উপজেলা কন্ট্রোল রুম খুলেছে প্রশাসন। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
২০০৭ সালে সিডরে কাউখালীতে উপজেলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। কয়েক কিলোমিটার বেশি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছিলো অসংখ্য ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
কচা, সন্ধ্যা, কালীগঙ্গা, চিরাপাড়া, গাবখান এই ৫টি নদীর তীরে অধিকাংশ জায়গায় ভেড়িঁবাধ না থাকায় জলোচ্ছাসের ঝুঁকিতে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ এবং শতাধিক একর জমির আমন ফসল।
সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচার, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নদীর পাড়ের ঝুঁকি পুণ্য সবাইকে নিরাপদ জায়গায় নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।