মুসলিম জাহানের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি সহ আল্লাহতায়ালার রহমত ও পাপাচার থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আকুতি মিনতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রংপুরের ইজতেমা। শনিবার বেলা ১২টা ২ মিনিটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঘাঘট নদীর তীরে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ইজতেমা।
দিল্লীর নিজামুদ্দিন অনুসারী কাকরাইল মারকাজের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। বাংলা ও আরবি ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি। আখেরি মোনাজাতে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষ অংশ নেন।
বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত শেষ হয় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে। এ সময় ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। ৪০ একর আয়তনের বিশাল এই ইজতেমা ময়দানের জন¯্রােত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাহিরেও। মোনাজাতের সময় অনেক মুসল্লিকে মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনের ছাদে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
মোনাজাতে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি তো ক্ষমাশীল, আপনার কাছেই তো আমরা ক্ষমা চাইব। তাই আমরা ক্ষমা চাইছি, আপনার দয়া ভিক্ষা চাচ্ছি। আমাদের ওপর দয়া করুন। দ্বীনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দিন। আপনি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আমাদেরকে দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করুন।’
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভোর বেলা থেকে দলে দলে পায়ে হেঁটেই ইজতেমা মাঠে আসেন।
এরআগে ভোরে ফজরের নামাজের পর বয়না করেন মাওলানা মাসুম বিল্লাহ। পরে সকাল দশটা থেকে সোয়া এগারোটা পর্যন্ত হেদায়াতের ওপর আলোচনা করেন মাওলানা ফজলুল হক। শেষে মাওলানা আশরাফ আলী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।