নাটোরের সিংড়ায় আবদুস সালাম (৪০) নামের এক ভুয়া পাইলস চিকিৎসককে এক বছরের কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে কর্তব্যরত ডাক্তার না থাকায় সেবা ক্লিনিক মালিককে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও দীপ মেডিকেল সার্ভিসেস এবং দেশ মেডিকেল সেন্টার এর রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ৭দিনের সময় বেধে দিয়ে সতর্কবানী দেয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় চলনবিলের তাড়াশ-বরুহাস রাস্তার বালুয়া বাসুয়া এলাকার পলিপস এ- পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুশান্ত কুমার মাহাতো এই দন্ডাদেশ দেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবদুস সালাম প্রায় এক যুগ আগে সিংড়ার প্রেট্রোলবাংলা এলাকায় একটি কুড়ে ঘরে গোপনে পলিপস এ- পাইলস চিকিৎসা শুরু করেন। পরে ২০১৩ সালে চলনবিলের তাড়াশ-বরুহাস রাস্তার বালুয়া বাসুয়া এলাকার জাহেদুল ইসলাম নামের এক জনৈক ব্যক্তি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাতারাতি অভিজ্ঞ ডাক্তার বনে যান। ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে মাত্র ৬বছরেই পাশেই ৩০লক্ষাধিক টাকার জায়গা কিনে রাতারাতি ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে উঠেন। মানুষকে প্রতারণা ফাদে ফেলে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তার অপচিকিৎসায় অর্ধ শতাধিক রোগীও বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
নাটোর জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মর্তুজা খাঁন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে চলনবিলের বরুহাস রাস্তার বালুয়া বাসুয়া এলাকার পলিপস এ- পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে আবদুস সালাম নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছর কারাদ- দেয়া হয়েছে। তার কোন ডিগ্রি বা কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই। দীর্ঘ দিন ধরে নিজেকে সে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলো। এছাড়াও সেবা ক্লিনিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও দীপ মেডিকেল সার্ভিসেস এবং দেশ মেডিকেল সেন্টারে অনিয়মের কারণে সতর্কবানী দেয়া হয়েছে।