লক্ষ্মীপুরের চর গজারিয়ায় ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের’ আঘাতে গাছ উপড়ে প্রায় শতাধীক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় নারী-পুরুষসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়া আহদের উদ্ধার করে। ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও বাতাশের কারণে বিদ্যুতিক তার ছিড়ে যাওয়ায় রোববার রাত ৯ টা পর্যন্ত জেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের’ আঘাত প্রবল বাতাস বৃষ্টিতে রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের চলতি মৌসুমের আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মেঘনার পানি ২-৩ ফুট উচ্চতা বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রামগতি চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জু ও রায়পুর দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজী জানান, প্রায় ২০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে পৃথক ২ উপজেলায় শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়। তিন হতে পাঁচ জন আহত হলেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী বলেন, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন ও চরবংশী ইউনিয়নের চরকাচিয়া, মোল্লার হাট ও হাজীমারা স্লুইসগেট এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।