উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা সংলগ্ন যশোরের শেষ উপজেলা কেশবপুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ও বিরামহীন বৃষ্টিতে আমন ধান, মৎস্য ঘের,বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন,শস্য-মুশুরী,শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।ইতোমধ্যে অধিকাংশ ক্ষেতের ধান পেঁকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষকরা পতিত জমি চাষ করে ফুলকপি, বাধাকপি, শাস-সবজি, শস্য, মুশুরী, খেসারীসহ ডাল জাতীয় ফসলের বীজ বপণ করে।এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার থেকে ভারী থেকে মৃদু বাতাসসহ মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ায় শত শত হেক্টর জমির শাক-সবজি, সদ্য রোপণকৃত ফুলকপি, বাধাকপি, শস্য, মুশুরী, খেসারীর ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন,চলতি আমন মৌসুমে ৮০ শতাংশ জমির আমন ধান পেঁকে গেছে।এরমধ্যে দশ শতাংশ জমির কাটা পড়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাটা ধানসহ শাস-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবু আনাছ মোঃ নাছের জানান,রোববার ভোর রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে উপজেলায় গাছ উপড়ে ১৫৬টি স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১০টি স্থানে খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। অসংখ্য খুটি হেলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুত বিভাগের লোকজন দিনরাত শ্রম দিয়ে লাইন মেরামতের কাজ করছে। মঙ্গলবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ স্থান মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।