প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সৈয়দপুর উপজেলায় দুর্যোগ সহনীয় ৩০টি ঘর পেলো হতদরিদ্র পরিবার। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে তৈরি গৃহহীন মানুষের জন্য ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩০ টাকা ব্যয়ে ৩০টি বাড়ি পেলো এ উপজেলার হতদরিদ্ররা। গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্র এবং দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দুর্যোগ সহনীয় ঘরের নাম ফলকে লেখা ছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদানটি আর কাবিটা কর্মসূচি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ। তার ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্পের সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে হতদরিদ্র ৩০টি পরিবারে মিললো মাথা গোঁজার ঠাই। গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে ৭টি ঘর পেলেন আবদুল লতিফ আইসঢাল, মর্জিনা বেগম নিজবাড়ি, জেনারুল ইসলাম আইসঢাল কাঁচারিপাড়া, আমিনুর রহমান ওয়াপদাপাড়া, জিয়াউর রহমান ধলাগাছ সরদারপাড়া, খয়রুল আলম ধলাগাছ পশ্চিমপাড়া, গোলছেনা বেগম পশ্চিম আইসঢাল পানাতিপাড়া। কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ৫টি ঘর পেলো মহসিন আলী আরাজি কিসামত চওড়া ডাঙ্গাপাড়া, আবদুল গফুর পূর্ব বেলপুকুর ডাঙ্গাপাড়া, শ্রীমতি অঞ্জলী রানী কাশিরাম, ওবায়দুল ইসলাম কিসামত ডাঙ্গী গুয়াবাড়ি, পেয়ারী বেগম আরাজি কিসামত চওড়া। বাঙালিপুর ইউনিয়নে ৫টি ঘর পাচ্ছেন গোলাম মোস্তফা লক্ষণপুর বালাপাড়া, অমূল্য চন্দ্র রায় লক্ষনপুর পশ্চিমপাড়া (ভবতপাড়া), মোকছেদা বেগম লক্ষণপুর চড়কপাড়া, মহসিন আলী লক্ষণপুর চড়কপাড়া, হামিদা বেগম লক্ষণপুর পশ্চিমপাড়া। বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে ৭টি ঘর পেলো কেরামত আলী দক্ষিণ সোনাখুলি তহশিলদারপাড়া, শ্রী মনু চন্দ্র রায় উত্তর সোনাখুলি ডাক্তারপাড়া, আইজুল ইসলাম উত্তর সোনাখুলি জুম্মাপাড়া (দলবাড়িপাড়া), মোকছেদুল ইসলাম উত্তর সোনাখুলি ফকিরপাড়া, জয়নব বেগম বোতলাগাড়ী পাঠানপাড়া, আনোয়ার হোসেন দক্ষিণ সোনাখুলি বোতলাগাড়ী, গোলাম মোস্তফা দক্ষিণ সোনাখুলী বোতলাগাড়ী। খাতামধুপুর ইউনিয়নে ৬টি ঘর পাচ্ছে কফিরন বেগম খালিশা ধুলিয়া টেপাদহ, মতিয়ার রহমান খাতামধুপুর হাজীপাড়া, আবদুল কাদের খালিশা বেলপুকুর ফকিরপাড়া, আসাদুল চৌধুরী ঝাড়-য়া চৌধুরীপাড়া, লোকমান আলী খালিশা বেলপুকুর ও শ্রী প্রশান্ত রায় বৈরাগীপাড়া খাতামধুপুর। কথা হয় সুবিধাভূগী বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কেরামত আলীর সাথে তিনি জানান, তাদের পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলোনা স্বপ্ন পূরণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কখনও ভাবেননি এরকম একটি বাড়ি হবে তাদের। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করেন তিনি। তার মতো এ রকম গরিব অসহায় মানুষের জন্য রাষ্ট্র ক্ষমতায় অভিভাবক হিসেবে সার্বক্ষণিক পাশে থাকেন যেন শেখ হাসিনা। এ সম্পর্কে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত খান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে ২টি কক্ষ, ১টি করিডোর ১টি বাথরুম ও ১টি রান্নাঘর। দুর্যোগ মোকাবেলায় সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, মহান মনের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ সহসনীয় প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন। দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভূগীর তালিকায় যারা এ ঘর পেলেন তারাই।