জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচগ্রামের এক নববধু মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তার স্বামী হত্যার পর তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচগ্রামের সরকার পাড়া সুমনের সাথে পাশ্ববর্তী বেলতলী গ্রামের আতারা বেগমের(১৮) নামে সাথে প্রায় দুই মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবার নববধুকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাতে তার স্বামীর সঙ্গে সংসারের কথা নিয়ে বনিবনা না হলে তারা একত্রে না শুয়ে দুজন দুই ঘরে শুয়ে পরেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা নিহতের বাবার বাড়িতে খবর দেন এবং তাদের মেয়ে স্বামীর ঘরের তালা সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তারা দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলার প্রস্ততি চলছে।
নিহতর বড় বোন রেজলা ও তার খালা পারমিনা বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা আতারাকে প্রায় সময় নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ওরা আতারাকে হত্যা করে ঝুলে রেখেছে। আমরা এই সঠিক বিচার চাই।
কালাই থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আবদুল লতিফ খান বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে, না সে আত্মহত্যা করেছে ময়না তদন্ত রিপোট ছাড়া এই মুহুর্তে সঠিক কিছু বলা যাচ্ছেনা।