লালমনিরহাটে উমর ফারুক (৩৬) নামে কুড়িগ্রাম জেলার মোহনা টেলিভিমনের এক ভুয়া সাংবাদিককে ৬৪০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সদর থানার এসআই জাহিদ হাসান ও এএসআই আতাউল গনি সঙ্গীয ফোর্সসহ তিস্তা টোল প্লাজায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটক উমর ফারুক উড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার চন্দ্রখানা ব্রাক অফিস রোড এলাকার মোঃ আবদুল হালিমের ছেলে।
লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ আলম জানায়, ভোর বেলা মোবাইল-১ এর এসআই জাহিদ হাসান ও হাইওয়ে-১ এএসআই আতাউল গনি’র সমস্বয়ে পুলিশের একটি দল তিস্তা টোল প্লাজায় বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কুড়িগ্রাম থেকে আসা রংপুরগামী একটি পিকআপ ভ্যান তল্লাশীর জন্য দাড় করানো হয়। ওই পিকআপ ভ্যানে করেই রংপুরে যাচ্ছিলেন উমর ফারুক। এ সময় পুলিশ তাকে তল্লাশী করতে চাইলে সে মোহনা টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেয়। একপর্যায়ে তার কথা বার্তায় পুলিশের সন্দেহ হলে দেহ তল্লাশী করে তার অন্ডকোষের সাথে বেধে রাখা তিনটি পোটলায় ৬৪০ পিচ ই্য়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা একটি ক্যামেরা, একটি ট্যাব, মোহনা টেলিভিশনের লোগো ও আইডি কার্ড পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ওই ভুয়া সাংবাদিক উমর ফারুকের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করে দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। সে দির্ঘদিন থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলেও জানান ওসি মাহফুজ আলম।
এ ব্যাপারে মোহনা টেলিভিশনের ইন্টারন্যাশনাল ডেক্স ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম ইমরানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, একসময় উমর ফারুক আমাদের মোহনা টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে এ রকম মাদকের অনেক অভিযোগ পাওয়ার পর ৪/৫ বছর আগে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কিন্তু সে আমাদের দেয়া মোহনা টেলিভিশনের লোগো ফেরত দেয়নি। তাকে কোন আইডি কার্ড দেয়া হয় নাই। আইডি কার্ড তো যখন তখন বানিয়ে নেয়া যায়। বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলায় উমর ফারুক মন্ডল নামে মোহনা টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মোহনা টেলিভিশনের বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ও তার নাম একই হওয়ায় সে এই সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। তবে ওই ভুয়া সাংবাদিক উমর ফারুক তাদের মোহনা টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি নয়।