২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও কাবা শরীফকে অবমাননা করে ফেসবুকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের ঠাকুর পাড়ার হিন্দু পল্লীতে হামলার ঘটনায় সম্প্রতি চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। আমরা যারা ওই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। চার্জশীটে অন্যায় ভাবে আমাদের নাম রাখা হয়েছে। ওই চার্জশীটে আমাদের নাম দেখে অবাক হয়েছি। বুধবার সকালে রংপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ঠাকুরপাড়ার মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামি নুর ইসলাম শান্তি মেম্বার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সুফলে আমরা শান্তিতে জীবন নির্বাহ করছি। ঠাকুর পাড়ার হিন্দু পল্লীতে হামলার ঘটনাটি ছিল একটি চক্রের বড় রকমের গোপন ষড়যন্ত্র। যার নিরব শিকার হয়েছে হাজারো সাধারণ মানুষ। আমরা ঘটনাস্থলে যাইনি। ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। ভিডিও ফুটেছে আমাদের ছবি দেখাতে পারবে না কেউ। তবু আমাদের ওই ঘটনার সাথে ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে জড়িয়ে চার্জশিটে নাম দেয়া হয়েছে। ওই মামলার ধারা গুলো দেখে আমাদের ভিতরে প্রাণ নেই। চার্জশীট থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহার করা হোক। তানা হলে পরিবার পরিজন সহ আমাদের গলায় রশি দেয়া ছাড়া পথ থাকবে না। লিখিত তিনি আরও বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার মহোদয়কে জানাতে চাই, আমরা নির্দোষ। আমাদের ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে ঠাকুর পাড়ার মামলায় আসামি করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম দেয়া হয়েছে। যারা ঠাকুর পাড়ার ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করার দাবি জানাই। অধিকতর তদন্ত করে আমাদের নাম চার্জশিট থেকে প্রত্যাহারের দাবি করছি। কারণ আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের পরিবার আছে। ওই চার্জশিট থেকে নাম প্রত্যাহার করা না হলে আত্মহুতি দেয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোন পথ খোলা নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চার্জশটিভুক্ত আসামি তারেক মিয়া, এনামুল, মোসলেম হাজী, আসাদুল, এমদাদুল, মেসবাহুল, মোজাম্মেল মংলু নুর আলম, একাকব্বর আলী, সহিদার হাজী, নুরবক্ত মিয়া, মিজানুর রহমান, হানিফ, সোহেল রানা, মোজাহারুল, আনিস, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।