কয়রা উপজেলায় পৃথক ৩ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ ৫ মন পুশকরা বাগদা চিংড়ী ধ্বংস করা হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার দুপুর ২ টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজ্রিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকী উপজেলার ফুলতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে ৪ টি ড্রামে থাকা আনুঃ ৫ মন পুশ করা বাগদা চিংড়ী জব্দ সহ চিংড়ীর মালিক নুর ইসলামকে আটক করে। পরে জব্দকৃত চিংড়ী স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে কপোতাক্ষ নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃত নুর ইসলামের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর নদীতে ডুব দিয়ে এক ব্যক্তি নষ্ট করা চিংড়ী সংগ্রহ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অনুরুপ একই দিনে অভিযান চালিয়ে উলা গ্রামের সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কালে সুব্রত বিশ্বাস ও কিরন সরদার নামে ২ জন কে আটক করা হয় এবং পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নারানপুর বাজারে সরকারি জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করার অপরাধে মিজানুর রহমান নামে একজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একটি সুত্রে জানা গেছে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পুশকৃত চিংড়ী আটক করে নদীতে ফেলা এবং একজন ব্যাক্তিদ্বারা সেই বাগদা চিংড়ি উত্তোলনের বিষয়টি কে একটি মহল ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকি বলেন এর আগে একাধীকবার অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ী আটকের পর জেল জরিমানা সহ জব্দকৃত চিংড়ী নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার জব্দকৃত চিংড়ী বিকাল ৫ টায় স্থানীয় সাংবাদিক ও জনসাধারনের সম্মুখে কপোতাক্ষ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তবে নদীতে ডুব দিয়ে সেই ধবংস করা বাগদা চিংড়ী তোলার চেষ্টা করার অপরাধে একজনকে আটক করে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।