যশোর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চার নার্সিং সুপারভাইজারকে শূন্য পদে পদায়নের জন্য একটি ই-মেইল এসেছে। এ ই-মেইলটি সঠিক, নাকি জালিয়াতিপূর্ণ, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ই-মেইলে কয়েকটি বিষয় অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে পদায়নপত্রটি সঠিক কি না যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক আলম আরা বেগমের কাছে যশোর থেকে পত্র দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর সেবা পরিদপ্তর থেকে হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তহমিনা বেগম, মরিয়ম পারভীন, বাসন্তি ভদ্রা এবং সালমা সুলতানার নামে আলাদাভাবে সুপারভাইজার পদে পদায়নের প্রজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল আসে। প্রজ্ঞাপনটি হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন। পরদিন ১০ নভেম্বর তা পাঠানো হয় হাসপাতালের উপ-সেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগমের কাছে দেন। তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং এর পদায়নপত্রের সত্যতা নিয়ে নানা ধরনের কথা ওঠে সেবিকাদের মধ্যে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলে আসা পত্রটি বুধবার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তলব করেন। পদায়নপত্রটি দেখে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অমিল পান। পরে বিষয়টি সঠিক কি-না যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক আলম আরা বেগমের কাছে পত্র দিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রজ্ঞাপনটিতে এক সঙ্গে চারজনের নাম থাকলে একটি স্মারক হয়। কিন্তু চারজনের নামে একই স্মারকে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন এসেছে, যা অস্বাভাবিক। এছাড়া সেবা পরিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই চারজন সেবিকার পদায়নের প্রজ্ঞাপন পাঁচদিনেও প্রকাশ হয়নি।
এ ব্যাপারে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, অভিযোগ ওঠায় প্রজ্ঞাপনটি দেখেছি। তাতে স্মারক, পরিচালকের স্বাক্ষরসম্বলিত ই-মেইল সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এ জন্য বুধবার সেবাপরিদপ্তরে ফিরতি চিঠি দেয়া হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য।