ঝালকাঠির রাজাপুরের ৬ নং মঠবাড়ি ইউনিয়ন আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন বৃহস্পতিবার বিকেলে সাউথপুর মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগরে সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজাপুর উপজেলা আ’লীগরে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নরুল আমিন খান সুরুজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজাপুর উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. এইচ এম খায়রুরল আলম সরফরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মঠবাড়ি ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী গোমস্তা। সম্মেলনে জালাল আহমেদকে সভাপতি ও তরিকুল ইসলাম তারেককে সাধারণ সম্পাদক এবং মাসুম হাওলাদারকে সিনিয়র সহ সভাপতি ও আবদুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মঠবাড়ি ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-নেত্রী এবং কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে ঘুর্ণিঝড়ে তাঁর ছিঁড়ে ও ভেঙে ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বিপাকে
এফএনএস (মোঃ আঃ রহিম রেজা; রাজাপুর, ঝালকাঠী) : ঝালকাঠিতে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের ৫দিন অতিবাহিত হলেও শতাধিক গ্রামের দেড় সহস্রাধিক গ্রাহক ও পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা সদরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও জেলার ৪ উপজেলার এসব এলাকায় করে নাগাদ চালু হবে তা অনিশ্চিত। কতৃপক্ষ জনিয়েছে মেরামত কাজ চলমান আছে দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। অন্যদিকে বিদ্ধস্ত ঘরবাড়ি মেরামত বা পূনঃনির্মানের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে সম্পন্ন হলে বরাদ্দ সাপেক্ষে গৃহ নির্মানসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক। এদিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের কারণে চলমান বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ঝালকাঠি জেলায় কোন প্রান হানি না ঘটলেও সামগ্রীক ভাবে জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। যা স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। জেলা সদরের কিছু কিছু অংশে ঘুর্ণিঝড়ের দু’দিন পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হলেও জেলার প্রায় সকল গ্রামেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ঝালকাঠি বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ পালা উপড়ে পড়ে ওজোপাডিকোর ৩ কিলোমিটার এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৫ শতাধিক স্থানের বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে গেছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক খুটি ভেঙে গেছে এবং আরো অর্ধশতাধিক হেলে পরেছে। এ ছাড়া ৮টি ট্রান্সমিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লাইন ঠিক করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক, তবে কতদিন লাগবে তা সঠিকভাবে বলতে পারছে না কতৃপক্ষ। ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুত সমিতির ১ লাখ ২১ হাজার গ্রাহকের মধ্যে এখনও দেড় হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মোবাইল নেটওর্য়াক এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে বিগ্নিত হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা সহস্রাধীক ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়েছে। যা পূনঃ নির্মানের সংগতি অনেকেরই নেই। ফলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে অনেক দিন লেগে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, অনেক দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থানায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এবং অনেকের কর্ম বন্ধ রয়েছে। ঘরবাড়ি ও খেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সরকারি সহায়তা না পেলে এ ক্ষতি পূষিয়ে উঠা সম্ভব নয়। এখনও কোন সহায়তা পাননি তারা। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী জানান, ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ২০ লক্ষ টাকারও বেশিসহ জেলা সর্বমোট ১২ কোট টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চুড়ান্ত হিসেবে এর পরিমার আরো বড়তে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বরাদ্দ সাপেক্ষে পূনর্বাসান শুরু করা হবে।)