লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে কালীগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকায়। বৃহস্পতিবার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা দরে। শুক্রবার ২৭০। ক্রেতারা বাজারে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন। অনেকেই পেঁয়াজ না কিনেই চলে যাচ্ছেন। দোকানিদের বলছেন কটু কথা। বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা লাল্টু মিয়া বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়াই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ পর্যন্ত অর্ধেকও বিক্রি করতে পারিনি। তাই আজকে আর নতুন করে পেঁয়াজ কিনিনি। কারণ কাস্টমাররা দাম শুনে যা তা সন্তব্য করছেন। তিনি বলেন, ৭০০ টাকা কেজি দরে মানুষ খাসির মাংস কিনে খেতে পারছেন আর ২৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে এত কষ্ট কিসের।
বাজারে অন্য এক পেঁয়াজ বিক্রেতা নাজিম হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে এনেছেন তিনি। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ করে এখন তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, কী করবো ভাই দাম বেশি পড়ছে। এখন পেঁয়াজ বিক্রিও কমে গেছে। আগে অনেক বেশি বিক্রি হতো। আজ সারাদিনে ১০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। নতুন বাজারের ব্যাসায়ি নাজিম বলেন, তিনি পেয়াজের দাম বেশি হবার কারণে মাত্র ৫ কেজি পেয়াজ কিনে এনে বিক্রি করছে।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে তবুও প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। বাজার মনিটরিং না করার কারণেই বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মনে হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ বাজার আসার আগে সাড়ে ৩০০ টাকা হয়ে যাবে। বাজারে কেনাকাটা করতে আসা এক নারী সুপিয়া বেগম বলেন, এক কেজি পেঁয়াজ কিনতেই যদি খরচ করতে হয় তাহলে অন্যান্য সদাই করব কীভাবে। পেঁয়াজের এত দাম আমার জীবনে দেখিনি। আরেক ব্যবসায়ি ইয়াছিন হোসেন বলেন, শুক্রবার তিনি পাইকারি বাজার থেকে পেয়াজ কিনেছেন ২৬০ টাকা করে এখন পরিবহন খরচ করে দোকানে এনে খুচরা বিক্রি করছে ২৭০ প্রতি কেজি।