জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান এর নেতৃত্বে ইজারা বিহীন তুলশীগঙ্গা নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করে ৩ জন বালু শ্রমিককে আটক করেছে এবং ঘটনার স্থলেই বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতিসহ বালু বহনকারী ২টি ট্রাক্টর (মেসি) পুড়িয়ে দিয়েছেন যার আনুমানিক মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। ১৪ নভেম্বর মামুদপুর ইউনিয়নের মালন্দা ঘাট নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে,গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ক্ষেতলালের মামুদপুর ইউনিয়নের তুলশীগঙ্গা নদীর মালন্দা ঘাট ও পার্শ্ববর্তী আক্কেলপুর উপজেলার সীমানা সংলগ্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সুকৌশলে বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করে ভু-গর্ভস্থ্য থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইজারা বিহীন নদীর ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ওই এলাকার ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছিলেন এক সংঘবদ্ধ চক্র। ঘটনার খবর পেয়ে ওই স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতিসহ ২টি ট্রাক্টর (মেসি) আগুন জ¦ালিয়ে ভস্মিভুত করা হয়। ঘটনার স্থান থেকে বালু উত্তোলন এর সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করে তাদের কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদন্ড করা হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দুলাল(৬০)দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড, শিবু (২৫)এক বছর সশ্রম কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, আমিনুল ইসলাম(২৮)১০ মাস সশ্রম কারাদ- ৩ হাজার অর্থদন্ড।
ক্ষেতলাল থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম সিদ্দীকুর রহমান বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় নির্বাহী কর্মকর্তা আমার নিকট থেকে কোন ফোর্স বা সহযোগিতা চায়নি। তিনি নিজস্ব লোকজন নিয়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করেছে। রাত ৯ টায় প্রসিকিউশন সহ তিন জন আসামীকে পুলিশের নিকট সোর্পদ করেন।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন যেন অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য আগুন নেভিয়ে ফেলেন।