ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল-চাঁদাদাবি, আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করে গাইবান্ধা শহরতলীর একটি অসহায় পরিবার।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টারদিকে রংপুর সিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গাইবান্ধার চক মামরোজপুর এলাকার মৃত দৌলত জামানের ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, বাবার জীবদ্দশায় নগরীর মুলাটোল এলাকায় আনোয়ার হোসেন, সেলিম মিয়া ও সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে ৪ শতক জমি বিগত ১৯৯৪ সালের ১৮ জুলাই করেন। যার দলিল নং-৯৫৯৩। যার তফশীল সাতগাড়া মৌজার জে এল নং-৯৪, সিএস খতিয়ান নং- ৮৬৯/২, খতিয়ান নং-৯২৭. ডিপি খতিয়ান নং-১৮৪৯, সাবেক দাগ নং-৩৯১৯, বুজারত ১১৫৬৪। দাগে এদিকে, নগরীর মুলাটোল এলাকায় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ সরকারের ছেলে সোহেল রানা ইমনের বিরুদ্ধে ৮/১০ জন ছাত্রলীগের প্রভাব দেখিয়ে ভুমি নিজ দখলে রেখে দৌলত জামানসহ তার লোকজনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়াও ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর দৌলত জামানের মৃত্যুর পর জমি সম্পর্কিত বিষয়ে সোহেল রানা ইমনগংয়ের দ্বারা প্রাণনাশের হুমকি ও মানসিক নির্যাতনের কারণে পশুরাম ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম..... মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এদিকে, ইমন জমি দখলে রেখে মুলাটোল স্পোটিং ক্লাবের নামে সাইনবোড টানানো হলে তা পরে অপসারণ করা হয়। ইমনের মা লতিফা বেগম ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক হওয়ার ফলে ছাহিদুল ও ছাগির নামের ২জনকে ম্যানেজ করে ইমনের নামে একটি মৌখিক হেবানামা দলিল তৈরী করে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারায় জবর-দখল হতে বিরত থাকা অভিযোগ করেন। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে জমিতে প্রবেশ, কর্তন, নির্মাণ কাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। যার এম আর নং- ১৩৫/১৯। মামলা দায়েরের খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ইমন ও তা মা ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক লতিফা বেগমের বিরুদ্ধে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করার প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে পীরগঞ্জের পাচগাছি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে স্ট্যান্ডরিলিজ করেন। এঘটনার জের ধরে ভুক্তভোগীদের হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখে ইমনগং। এ ঘটনায় পৃথক মামলা আদালতে ও রংপুর কোতোয়ালি থানায় গত ১৫ নভেম্বর জিডি করা হয়েছে, যার জিডি নং-৯১৯। সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ইমনের হুমকিতে আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। প্রশাসনের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এ সময় মিরাজের মা ফেন্সি বেগম, খালাতো ভাই নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।