রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রতারনার মাধ্যমে ৩ আদিবাসীর ১২ একর জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে দায়েরকৃত মামলায় ঘটনার নায়ক জহুরুল ইসলাম মিঠু নামের এক সাবেক সেনা সদস্যকে পুৃলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত মিঠু চতরা ইউনিয়নের সুন্দলপুর(নীলদরিয়া)গ্রামের ডাঃ বাদশা মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়,প্রতারিত চতরা টিকিরা পাড়ার মৃত মঙ্গল হাসদার ছেলে দেওয়ান হাসদা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানায় গত শুক্রবার মামলা দায়ের করেছে। মামলার আরজীতে বাদী উল্লেখ করেন-তিনি নিজে ,তার ভাই বুদরাই হাসদা ও সরদার হাসদার পৈতৃক সুত্রে প্রাপ্ত চতরা মৌজার ৯৭ খতিয়ানে পৃথক ৭ দাগে ৪ একর ৪৩ শতক,এবং ৯৯ খতিয়ানে পৃথক ৬ দাগে ৭ একর ৬৩ শতকসহ মোট ১২ একর ৬ শতক জমির মধ্য হতে পৃথক ৪ দাগে ৩ একর ৭৯ শতক বেদখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য অভিযুক্ত মোঃ জহুরুল ইসলাম মিঠুকে আমমোক্তারনামা নিয়োগ করি। পীরগঞ্জ গ্রামের দলিল লেখক জগবন্ধু মহন্তের ছেলে শ্রী অধীর চন্দ্রের সাথে যোগসাজোস করে মিঠু ১২ বিঘার স্থলে কৌশলে ১২ একর জমি আমমোক্তার দলিল করে নেয়ার উদ্দেশ্যে যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে। গত ৬ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টায় পীরগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনের পুর্ব মুহুর্তে সাব রেজিষ্ট্রারকে আমমোক্তার দলিলটি পড়ে শোনানোর অনুরোধ করা হলে সাব রেজিষ্ট্রার সামসুজ্জামান সরদার নিয়ম অনুযায়ী দলিলটি পড়ে শোনানোর পরিবর্তে অতি উৎসাহী হয়ে উল্টো আদিবাসী ৩ ভাইয়ের উপর চড়াও হন। অবস্থা বেগতিক দেখে এরা দৌড়ে থানার মাঠে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এলাকাবাসী জানায়,বিষয়টি নিয়ে আদিবাসীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন-তিন ভাই আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত অশিক্ষিত হেতু অভিযুক্তরা এ সুযোগ গ্রহন করেছিল। দায়েরকৃত মামলার তদন্ত চলছে। প্রধান আসামি কে গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের অন্যানদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।