পাবনার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে মণ প্রতি দাম কমেছে দুই হাজার টাকা। এদিকে জেলার বিভিন্ন মাঠের আগাম জাতের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু এলাকার পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুরো দমে বাজারে উঠা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, বাম্পার ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
শনিবার যে পেঁয়াজ পাইকারী ভাবে মণ প্রতি বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায়। একদিনের ব্যবধানে রোববার পাবনার টেবুনিয়া বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা মণ দরে। আর খুচড়া বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। যা শনিবার খুচড়া বাজারে বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা থেকে ২২০টাকা কেজি দরে।
টেবুনিয়া বাজারের পাইকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ওহাব আলী বলেন, টেবুনিয়া পেঁয়াজের আড়তে হঠাৎ করে আমদানি বেড়ে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকার বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করায় মজুদদাররা পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন তাই আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পাইকার বাজারে মণ প্রতি ২ হাজার টাকা কমে গেছে।
এদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা পাবনার কিছু এলাকায় নতুন আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কৃষকরা বলছেন, পুরোদমে পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরো ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।
পেঁয়াজ চাষি আবদুস সালাম বলেন, এবার আমরা গত বারের চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। দাম বেশী দেখে বেশি জমিতে আবাদ করেছি। এখন যে পেঁয়াজটা বাজারে উঠছে সে পেঁয়াজটা পরিপক্ক হয়নি। বাজারে দাম দেখে তারা ঐ পেঁয়াজই বাজারে বিক্রি করছে। আমরা আশা করি গত বারের চেয়ে এবার ফলন বেশী হবে।
অপর পেঁয়াজ চাষি কাশেম বলেন, আগাম জাতের (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ ফলন হবে। এতে তারা বেশ লাভবান হবেন বলছেন তারা।
কৃষি বিভাগ বলছেন, এবার জেলায় পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলছেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তারা।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালকমো: আজাহার আলী বলেন, দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা পাবনা। গত বছর প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ্য মে:টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। জমির পরিমাণ ছিলো প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে আগাম জাতের জমির পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে আগাম জাতের পেঁয়াজ লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হবে। কিছু কিছু আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে।