পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জেডিসি পরীক্ষায় বডি চেইঞ্জ করে ভূয়া (প্রক্সি) পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব উপজেলা জামায়াতের আমির ও মাদ্রাসা সুপারসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে কেন্দ্র সচিব বিপিএম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও ভাণ্ডারিযা উপজেলা জামায়াতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মো. আমির হোসেন, হরিণপালা নেছারিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ছিদ্দিকুর রহমান, ভুয়া (প্রক্সি) পরীক্ষার্থী হাফিজা আক্তার, কারিমা আক্তার, মুনিয়া হাওলাদার, বকুল আক্তার, মো. মমিনুল ইসলাম ও হরিণপালা নেছারিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়মিত পরীক্ষার্থী মো.বায়জিদ হোসেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পশারীবুনিয়ায় নিভৃত পল্লীতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে শনিবার জুনিয়র দাখিল পরীক্ষা (জেডিসি) শেষ দিনে ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ৫ ভূয়া (প্রক্সি) পরীক্ষার্থীকে সনাক্ত করা হয়। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা প্রক্সি হিসেবে অন্যের পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে তাৎক্ষণিক তাদের আটক করা হয়
এছাড়া ভূয়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. আমির হোসেন ও উপজেলার হরিণপালা নেছারিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. সিদ্দিকুর রহমানকেও আটক করা হয়।
উপজেলার পশ্চিম গোলবুনিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার নিয়মিত পরীক্ষার্থী মুনিয়া আক্তার রোল ৩০৬৫৪৬ এর পরিবর্তে হাফিজা আক্তার, রুমী আক্তার রোল-৩০৬৫৫০ এর পরিবর্তে কারিমা আক্তার, নূপুর আক্তার রোল-৩০৬৫৪৯ এর পরিবর্তে ফাযিল পরীক্ষার্থী মুনিয়া হাওলাদার, সোনিয়া আক্তার রোল-৩০৬৫৪১ এর পরিবর্তে বকুল আক্তার হরিণপালা নেছারিয়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী বায়জিদ হোসেন রোল-৩০৬৩৮৬ এর পরিবর্তে মো. মমিনুল ইসলাম পরীক্ষায় অংশ নেয়।