নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিস্তৃর্ণ এলাকায় বাদামী গাছ ফড়িং পোকা (কারেন্ট ছড়িয়ে পড়ায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এবারে ৯টি ইউনিয়নে বিস্তৃর্ণ এলাকায় বাদামী গাছ ফড়িং পোকা (কারেন্ট পোকা) ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কৃষকের সোনালী ক্ষেত আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকার আমন ক্ষেত পোড়া যাওয়ার মত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর আমন ধানের টার্গেট ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৮শ’ ৬০ হেক্টর জমি। অর্জন হয়েছে ১৪ হাজার ৮শ ২৭ হেক্টর। এবারে পোকার ব্যাপকতার কারণে কাঙ্খিত অর্জন এখন স্বপ্নের মত। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, বাদামী গাছ ফড়িং পোকার বংশ বিস্তারের জন্য এবারে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এর ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়েছে। দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা হলে বাদামী গাছ ফড়িং পোকা সহজেই বংশ বিস্তার করতে পারে। সদর ইউনিয়নের কামারপাড়ার জরিমুদ্দির ছেলে মইনুল ইসলাম জানান, আমার ৫ বিঘা জমিতে বি,আর ১১ জাত ধানের মধ্যে দেড় বিঘা জমি কারেন্ট পোকার আক্রমনে সম্পূর্ণ শেষ। বাকী সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে। এদিকে চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের ইসমাইল সরকারে ছেলে এমদাদুল সরকার জানান, আমার ১৫ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমি কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত। ওষুধ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কারেন্ট পোকা আক্রমণের কথা শুনিনি, তবে প্রতিবারেই এক-আধটু করে আক্রমণ হয়।