আমতলী পৌর শহরের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোববার দিবাগত রাতে চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোর চক্র বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে চুরি করেছে। দুইটি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনার থানায় অভিযোগ দেয়া গয়েছে।
জানাগেছে, পৌর শহরের আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমতলী এমইউ বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রোববার ছুটে শেষে মুল ফটকসহ সকল ফটকে তালা লাগিয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীরা চলে যায়। রোববার দিবাগত গভীর রাতে চোরচক্র মুল ফটকের কয়রা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথিমক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের দরজার কয়রা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ওই বিদ্যালয়ের তিনটি আলমিরা ও একটি ওয়ারড্রোপ ভেঙ্গে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর, একটি প্রজেক্টর ল্যাম্প ও দুইটি সাউন্ড বক্স নিয়ে গেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এলোমেলো করে রাখে। অপরদিকে আমতলী এমইউ বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক মিলনায়তন ও মেয়েদের কমন রুমের ফটকের কয়রা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এবং বিদ্যালয়ের ছয়টি আলমারি ও একটি ট্যাঙ্ক ভেঙ্গে কাগজপত্র তছনছ করে রেখে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমতলী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়।
আমতলী এমইউ বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এমএ হান্নান বলেন, বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।
আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এ্যাড. মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, গত দুই মাস ধরে আমতলী পৌর শহরে অহরহ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলছে। এ সকল ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের আইন শৃংখলার চরম অবনতির কারনেই এ ঘটনা ঘটছে।
আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত গতিতে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।