পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে আনতে না আনতেই আমতলীতে বেড়ে গেলে লবনের দাম। কৃত্রিম সংঙ্কট সৃষ্টি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজী লবন সব্বোচ্চ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছে। লবনের লেভেলের দামের সাথে কোন মিল নেই। মঙ্গলবার বিকেলে লবনের দাম বৃদ্ধির খবর শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর শুনে মানুষ হুমরি খেয়ে লবন কিনছে। লবনের দাম বৃদ্ধিও পরপরই আমতলী পৌর শহর ও উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বড় মুদি মনোহরদি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী পৌর শহর, তালুকদার বাজার, চুনাখালী, গাজীপুর বন্দর, আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার ও আমড়াগাছিয়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কোন কারণ ছাড়াই লবনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানীর লবনের লেভেলে দাম লেখা থাকলেও তার চেয়ে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশী দামে লবন বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির খবরে মানুষ হুমরি খেয়ে লবন কিনে নিচ্ছে। এদিকে লবনের দাম বৃদ্ধির খবর পেয়ে আমতলী পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মুদি মনোহরদি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন। বেশী দামে লবর বিক্রির খবর পেয়ে আমতলী ইউএনও মনিরা পারভীন ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) কমলেশ মজুমদার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শুরু করছেন।
আমতলী পৌর শহরে পুরাতন বাজার, বাঁধ ঘাট চৌরাস্তা, ইউএনও অফিস, মিঠা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা দেছে, মোটা লবর ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, চিকন লবন ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা লবনের দাম নিয়ে কথা বললেই ব্যবসায়ীরা লবন নেই বলে জানিয়ে দিচ্ছে। পৌর শহরের বড় মুদি মনোহরদি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন। মানুষ দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ক্রেতা বাকি বিল্লাহ বলেন, মুসকান কোম্পানীর লবন ৫০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন,লবনের লেভেলে ৩৫ টাকা দাম লেখা থাকলেও দোকানদার ১৫ টাকা বেশী দামে বিক্রি করছে। আমি দাম বেশী নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে দোকানদার লবন নেই বলে জানান।
হাকিম ফকির বলেন বলেন, এক কেজি লবন ৫৫ টাকায় ক্রয় করেছি। অঞ্জুলী রানী বলেন, এক কেজি লবন ৬০ টাকায় ক্রয় করেছি।
মুদি মনোহরদি ব্যবসায়ী লিটন বলেন, কোন কারণ ছাড়াই লবনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিকেজি মোটা লবন ৩০ টাকা এবং চিকন লবন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
আমতলী মুদি মনোহরদি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শিপন তালুকদার বলেন, একটি চক্র গুজব রটিয়ে এ কাজটি করছে।
আমতলী ব্যবসায়ী সমিতি কৃত্রিম সংঙ্কট সৃষ্টি করে বেশী দামে লবন বিক্রি করতে দেবে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন, লবনের প্রচুর মজুদ রয়েছে। কেউ কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কেউ এক কেজির বেশী লবন ক্রয় করতে পারবে না। করলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।