রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা এবং স্থানীয় সরকারী দলের কতিপয় প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় বগুড়া রেলষ্টেশন এলাকার রেলওয়ে ময়দানে নিয়মবহিভুত ও অনিয়মাত্রান্তিক ভাবে গড়ে তোলা ২শতাধিক দোকান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেযা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাপক পুলিশ ও রেলের নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতেএই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে ,বগুড়া শহরের স্থানীয় সরকারী দলের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি দীর্ঘ দিন যাবত কোটি কোটি টাকা গ্রহনের মাধ্যমে রেল কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে বগুড়া রেল ষ্টেশনের দক্ষিন পার্শ্বে রেলের নিজস্ব জায়গায় গড়ে তোলে অবৈধ স¤্রাজ্য।
অভিযোগে জানা যায়, বরাদ্ধ পাওয়ার কথা বলে মহলটি কোন প্রকার লাইসেন্স ফি রেলওয়ের অনুকুলে জমা না দিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে থেকে ৬লাখ টাকায় দোকান বরাদ্ধের নামে সাইজ বুঝে ওই স্থানে শত শত দোকান ঘড় নির্মান করে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়,নির্মানাধিন ওই দোকান গুলির আধিপত্য নিয়ে শহরের ক্ষমতাসিন ও প্রভাবশালীদের দু’পক্ষের মাঝে বিভক্তির সৃষ্ঠি হয়। ফলে সেখানে বেশ কিছুদিন যাবত টান টান উত্তেজনা চলতে থাকে।
এদিকে রেলওয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বগুড়া রেল স্টেশন এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব বিশাল এলাকার ফাঁকা জায়গায় বাণিজ্যিক ভাবে লিজ প্রদান সাপেক্ষে প্লট আকারে বরাদ্ধ দেবার নিমিত্তে গত ২০১৮ইং সালের প্রথম দিকে টেন্ডার আহবান করা হয়। তদকালিন সময়ে সর্বোচ্চ দর দাখিলকারিদের বরাবরে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হয়। একই সাথে ২০১৮ইং সালের ২৬ আগস্ট তারিক সময় সীমা বেধে দিয়ে লাইসেন্স এবং নকসা ফি জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী মহলটি টাকা জমা না দিয়েই সেখানে ওই জায়গায় দোকান ঘড় নির্মান করেন এবং তা বিভন্ন জনার কাছে বরাদ্ধ দিয়ে কোটি কোটি টাকা গ্রহন করেন।
আরো জানা যায় ,সর্বোচ্চ দর দাখিলকারীদের মধ্য মোট ৬৭জন ছাড়া অন্যরা কোন টাকা পয়সা জমা করেননি । এদিকে টাকা জামা না দিলেও ওই স্থানে অনিয়মত্রান্তিক ভাবে কোন প্রকার দরপত্র ছাড়াই সেখানে দোকান গড় নির্মান করেন। অন্যদিকে যরা নিয়ম মেনে টাকা জমা দিয়েচেন তাদের ৬৭জনের অনুকুলে কোন দোকান বরাদ্ধ রাখেনি মহলটি।
অভিযোগ রয়েছে সরকারী ভাবে যে সব জায়গা রেল কর্র্তৃপক্ষ লিজ প্রদান করেনি সে সব জায়গাতেও শ’ শ’ দোকান গড় নির্মান করেন প্রভাবশালী মহলটি।সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল জানান, বার বার চিঠি দিয়ে তাগাদা দেবার পর রেরের অনুকলে টাকা জমা না দেয়ার পরেও যারা টাকা জমা দেননি, তাদের পূর্বের বরাদ্ধ বাতিল করা হয়। যে কারণে মঙ্গলবার সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
অন্যদিকে দোকান বরাদ্ধের নামে যে সব মানুসের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহন করা হয়েছিল তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন আগ্রহ প্রকাশ না করলেও যে ৬৭জন গ্রাহন নিয়ম মেনে সরকারী কোষাগারে টাকা জমা করেছেন তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জায়গা দেয়া হবে এমনটি জানিয়েছেন রেলের একজন দায়িত্বশীল। অন্যদিকে যে জায়গা লিজ বাতিল করা হয়েছে, সে সব জায়গার জন্য আবারো দরপত্র আহবান করা হবে মর্মে জানা গেছে।