পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতেই বগুড়ার আদমদীঘিতে লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলা জুড়ে। এমন খবরে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে।
এদিকে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজবে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের গোডাউন তল্লাশি ছাড়াও দোকানগুলোতে লবণের খুচরা ও পাইকারি মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই লোকমুখে লবণের মূল্য বেড়ে যাওয়ার গুজব রটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদমদীঘি, সান্তাহার, হাট-বাজারে বিভিন্ন এলাকায় মহামারী আকারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ক্রেতাদের সামাল দিতে দোকানীদের বেগ পেতে হয়। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক ছোট-বড় দোকান গুলোর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় লবণ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে করে গুজব আরো ডানা মেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে সান্তাহার হাট ঘুরে দেখা যায়, লবণ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। এই সুযোগে অনেক লবণ ব্যবসায়ী বস্তা প্রতি অতিরিক্ত ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দাম নিলেও কৌশলে রশিদে দাম লিখছেন না। ক্রেতাদের দাবি লবণের দাম বাড়তে যাচ্ছে এমন খবর শুনেছেন। তাই লবণ কিনতে এসেছেন তারা। তবে কোথায় এমন সংবাদ শুনেছেন এ কথা কেউ বলতে পারেননি।
সান্তাহার পৌর শহরের ব্যবসায়ী মিল্টন রহমান বলেন, লবণের দাম বাড়ার গুজবে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। একেক জন ১০ কেজি থেকে ২০ কেজি লবণ কিনছেন। তিনি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ বস্তা লবণ বিক্রি করেছেন।
লবণ কিনতে আসা আবদুর রহমান জানান, লোকেমুখে শুনছি লবণের দাম বেড়েছে। আগামীকাল থেকে আরো কয়েকগুণ বাড়তে পারে-এই আশঙ্কায় আজকে অনেকে লবণ কিনে রাখছেন। কারণ পেঁয়াজের মতো লবণও সংকট দেখা দিতে পারে। তাই আমি ১০ কেজি লবণ কিনে রেখেছি।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং একই সাথে সাধারন মানুষকে গুজবে কান না দেয়ার জন্য উপজেলার সর্বত্ত মাইকিং শুরু করা হয়েছে। বেশি দরে লবন বিক্রি করায় উপজেলা সদরের চারটি দোকান সিল করে দিয়েছে আদালত।