ঝালকাঠি শিক্ষা বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন শেষ হচ্ছেই না। একের পর এক দুর্নাম করেই চলছে। শিক্ষক বদলি, পদায়ন, উৎকোচ নিয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে একটি বিশেষ কোম্পানীকে সুযোগ দেওয়া ও বিদ্যালয় মেরামতে বরাদ্ধ টাকা থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ করছেন বেশ কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সিন্ডিকেট করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। এ সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি চায় সাধারন শিক্ষকরা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা: সালেহা খাতুন ও উচ্চমান সহকারী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো থেকে অফিস খরচের নামে প্রতি স্কুল থেকে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পিডিবি-৪ প্রকল্পে সদর উপজেলার ২৭টি প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয় ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্ধ পাওয়া বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী শহিদুল ইসলাম অফিস খরচের নামে ৮ হাজাার টাকা করে ঘুষ নেন। এ ছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাাজস্ব খাত থেকে সদর উপজেলার ১৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দেড় লাখ টাকা করে বরাদ্দ পায়। এসব বিদ্যালয় থেকেও অফিস খরচের নামে ৬ হাজার টাকা করে নেয় সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস।
একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, উচ্চমান সহকারী শহিদুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা: সালেহা খাতুন ও অফিস খরচের কথা বলে এই টাকা নেন। এ হিসেবে মোট ৪১টি স্কুল থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে কয়েকদিন আগে এ অফিসের আরেক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সমীরেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ কোম্পানীর ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনতে ফোন করে শিক্ষকদের চাপ দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গিয়েছিলো।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উচ্চমান সহকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পে অফিস খরচ বলতে কিছু নেই। আর টাকা নেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা: সালেহা খাতুন বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা। আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।