পেয়াজের পর এবার লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজব ছড়ানোর পর দেশের অন্যান্য স্থানের মত ঝিনাইদহ জেলায় কালীগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ হঠাৎ করে লবণ ক্রয় করছেন। আর লবণ ক্রয় বৃদ্ধির কারণে বাজারে বেড়েছে লবণের মূল্য। বাজারে মুদি দোকান গুলোতে লবণের খুচরা কেজি প্রতি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। গুজবের পর অনেক দোকানীরা যে যার মত দাম বাড়িয়ে তা ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি বিক্রি করছেন।
কোটচাঁদপুর রোডের রায় স্টোরের মালিক সঞ্জয় রায় জানান, মঙ্গলবার হঠাৎ করে বাজারে লবণের বিক্রি বেড়ে যায়। ক্রেতারা দোকান গুলিতে ভীড় জমায়। কিন্তু তিনি খচরা লবন বিক্রি করছিল ২০ টাকা কেজি। তবে তার দোকানে প্রচন্ড ভিড় দেখা যায়। এ সুযোগে নতুন বাজার এলাকার অনেক দোকানদার ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি লবণ বিক্রি করেছেন। তবে তিনি নির্ধারিত দামেই লবণ বিক্রি করছেন। বেশি দামে লবণ বিক্রি করছেন না বলে তিনি দাবি করেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে বাজার মনিটরিং করতে বের হন। এ সময় তিনি বড় বড় পাইকারী দোকানে অভিযান চালান। সে সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রির অভিযোগে মেসার্স উজ্জ্বল ট্রেডার্সের মালিক উজ্জ্বল দত্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা জানান, লবনে দাম বেড়ে গেছে বা লবনের সংকট আছে এমন গুজবের বিরুদ্ধে বাজার মনিটর করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে লবণ বিক্রির অভিযোগে কৃষি বিপণণ আইন-২০১৮ এর ১৯ (২)/৬ ধারায় মেসার্স উজ্জ্বল ট্রেডার্সের মালিক উজ্জ্বল দত্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া সমগ্র বাজার ঘুরে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অধিক মূল্যে লবণ বিক্রি বন্ধে সতর্ক করা হচ্ছে। অভিযানের সময় কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া সঙ্গীয় পুলিশসহ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে সাথে সাথে কালীগঞ্জ শহরে অভিযানে নামেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তারা শহরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালান সাথে সাথে প্রচার মাইকে ঘোষনা করেন লবনের দাম বৃদ্ধির ঘটনাটি নেহাত গুজব। বেশি দামে লবণ বিক্রি করলেই ব্যবস্থা। আর ক্রেতাদেরকে গুজবে কর্ণপাত না করার জন্য আহবান জানানো হয়। বুধবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সারাদিন ব্যাপি প্রচার মাইক বের করা হয় জনসাধারনের সচেতন করনের জন্য।