মাগুরা জেলাকে রেলওয়ের সেবার আওতায় আনতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা থেকে কামারখালী পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রেল লাইন পুন:স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ওই প্রকল্পের বাস্তবায়নে রেলওয়ের নির্ধারিত জায়গা থাকা সত্ত্বেও রেলের জায়গা দখলে থাকাদের যোগসাজসে অসাধু চক্র কামারখালী বাজারের দুই কিলোমিটার পুর্ব থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপনের নকশা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে করে অভিযোগ করে রেলের নিজস্ব জায়গায় রেল লাইন স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে কয়েক হাজার গ্রামবাসী।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী বাজার এলাকায় কয়েক গ্রামের মানুষ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে কয়েক হাজার মানুষ ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাহিদুর রহমান বাবু বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান মো. রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান, কামারখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বশিরউদ্দীন আহম্মদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী সুরাজুল ইসলম, মোঃ শাহাদৎ হোসেন শিপার, সাজেদুল ইসলাম দুলুসহ প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে দাবী করা হয়, রেলের এক শ্রেনীর অসাধু কমকর্তা কর্মচারী রেলের জায়গা দখলে রাখাদের সাথে যোগসাজসে এ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের দাবী অসাধু চক্রটি বর্তমানে তিন ফসলী জমি, স্কুল, কলেজের জায়গা ও ভবন এবং বসতভিটার উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপনের নকশা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা তাদের ন্যয় সঙ্গত দাবী না মানলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষনা দেন।
উল্লেখ্য, ওই রেলপথ বৃটিশ আমলে নির্মিত হলেও ৭১সালে আড়কান্দি ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এ পথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে রেলের প্রায় ৩২ একর জায়গা বিভিন্ন সময়ে দখলে নেয় প্রভাবশালীরা। ওই জায়গায় বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পাকা স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার রেলওয়ে থেকে কৃষি জমি হিসেবে বন্দোবস্তো নিয়েও সেখানে পাকা দালান নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে।