দেবরের কুঠারের কোপে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে রীতা রানী পাল (২৮)। রীতা রানী পাল বর্তমানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে আসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। রীতা রানী পাল ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার ঘারুয়া গ্রামের কালি দাস পালের স্ত্রী ও বোয়ালমারী উপজেলার বিলসরাইল গ্রামের মৃত্যু সুভাষ চন্দ্র পালের কন্যা। রীতা রানী পালের কিশোর পাল নামের ৭বছর বয়সি একটি পুত্র সন্তান আছে।
রীতা রানী পালের ভাই সঞ্জয় পাল অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ৮বছর পূর্ব কালি দাস পাল এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন দেবর, ননদ, শ্বাশুড়ী মিলে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন শুরু করে। আমার জামাই বাবু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হতো।
গত ১৯ অক্টোবর সকালে আমার জামাই বাবু বাড়ির পাশে দোকানে যায়। ঐ সুযোগে দেবর, ননদ, শ্বাশুড়ী সকলে মিলে আমার বোনের সাথে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়ার একপর্যায়ে বোনের দেবর রুহি দাস পাল কুঠার দিয়ে মাথার পিছনে কোপ দিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আমার বোনের আত্ম চিৎকারে প্রতিবেশীরাও আমার জামাই বাবু এসে উদ্ধার করে ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বোনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আমার বোনের অবস্থার আরো অবনতি হলে ঐদিনই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার পর থেকেই আমার বোন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন। আজ পর্যন্ত আমার বোনের জ্ঞান ফিরে আসেনি।
এ ঘটনায় চার জনকে আসামি করে ভাংগা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, রুহি দাস পাল. বুলু রানী পাল, সুচি রানী পাল। মামলা হলেও এখ নপর্যন্ত কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ভাংগা থানার এস আই বাকির হোসেন বলেন, আসামি ধরতে আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছি। আসা করছি দ্রুত আমাসীদের গ্রেফতার করতে পারব।