ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরে শ্রমিক হাটে জমে ওঠেছে ধান কাটার জন্য শ্রম বিক্রির বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত হাটে থাকছে কামলা কাজ করার শ্রমিকরা।
এবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে একটু আগে থেকেই কালীগঞ্জ কৃষকদের কাটতে হচ্ছে রোপা আমন ধান। কারেন্ট পোকার আক্রমণ ছাড়াও কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি এবং বাতাসের প্রভাবে পাকার আগ মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে ধান। এতে ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে কৃষকদের। তবে যে যত তাড়াতাড়ি ধান কাটতে পারবে তার ক্ষতির পরিমান তত কম হবে। এই বিশ্বাস থেকে কালীগঞ্জের কৃষকেরা একটু কাঁচা থাকতেই কাটতে শুরু করেছে তাদের আমন ধান। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় মাঠে এখন ধান কাটার ধুম পড়েছে। কামলা হিসাবে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করছে চুক্তি ও দিন মজুর হিসাবে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাঠে ব্যাপকভাবে ধান কাটছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, কালীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ব্যাগ পুটলা নিয়ে প্রচুর “কৃষি শ্রমিক এসেছে হাটে নিজেকে কামলা হিসাবে শ্রম বিক্রি করতে। চলছে দরকষাকষি কৃষক ও শত শত কামলাদের মধ্যে। বাড়িতে নিয়ে যাওয়া খরচ, থাকা, খাওয়া, হাত খরচ ছাড়াও প্রতিজন মোট দিন প্রতি নগদ ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা হারে বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেকে আবার বিঘা প্রতি ৪৫০০/ ৫০০০ টাকা হারে ধান কেটে দেওয়ার চুক্তিতে কৃষকের বাড়িতে যেতে দেখা যায়।
কালীগঞ্জে এখন কামলার হাটে দেখা মিলছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ধান কাটতে এসেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কামলা নজরুল ইসলাম জানায় আমি প্রতিবছর এই ধান কাটার মৌসুমে কালীগঞ্জ হাটে বিক্রি হই। মাস খানেক কাজ করে বেশ কিছু টাকা আয় করে নিয়ে যাই। যার ফলে একসাথে কিছু টাকার মুখ দেখতে পাই। বিশেষ করে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ি এলাকা থেকে কামলার কাজ করতে দিন মজুররা এসেছে।
কুষ্টিয়া এলাকার রহিম হোসেন জানান, আমাদের এলাকায় অনেক মানুষ দলগত ভাবে এখানে কাজ করতে এসছি। আমাদের কৃষি শ্রমিকদের দাম কম। তেমন কাজ হয় না ও ধান কাটতে গিয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায় না। ফলে আমরা কালীগঞ্জ এলাকায় ধান কাটতে আসি ও প্রায় এক থেকে দেড় মাস কাজ করি। ধান কাটার পরে আবার সামনে ধান রোপনের ও কাজ করি।