ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে দুটি কেন্দ্রে আনন্দ স্কুলের (রক্স প্রকল্প) হয়ে পিইসি পরীক্ষা দিতে এসে ৪০ শিক্ষার্থী ধরা পরেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ফারজানা নাসরিনের হাতে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান পরীক্ষার দিন এ ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জানান বিস্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে তিনি বিএস ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরোয়ার মেম্বারের বাড়ী আনন্দ স্কুলের পিইসি পরীক্ষার্থী নূরুন নাহার কে জিগ্যেসা করলে সে প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করে সে বলে মৌলভীর চর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এরপর একে একে নামে ও ভূয়া নামে ১৮ জন পরীক্ষার্থী সনাক্ত হয়। এরা হলেন তাসমিম,তামান্না সুলতানা প্রবেশ পত্রে তার নাম বৃষ্টি আক্তার, রুমি আক্তার প্রবেশ পত্রে তার নাম মুন্নি আক্তার, মিলি আক্তার প্রবেশ পত্রে তার নাম তানজিলা আক্তার, সোমাইয়া, সাজেদা আক্তার, সাকিব, সিয়াম, জিহাদ, সাইফ, হাসিবুল, মিজানুর, সোহাগ, ইব্রাহিম, আবু সাইদ, ফাতেমা, মার্জিয়া।
চর হাজিগঞ্জ স: প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জনই ভূয়া এরা হলেন হৃদয় ফকির, সোহাগ প্রামানিক প্রবেশ পত্রে তার নাম সাবিবর শেক, জান্নাত আক্তার, বন্যা আক্তার, বৈশাখী আক্তার, রাজু প্রামানিক, সেলিনা, আমেনা, জুই আক্তার, হাওয়া আক্তার, আখি আক্তার, সেখ সোলাইমান, সেক শিমুল, রিফাত বেপারী, ফরহাদ বেপারী, খুশি, ফাইজুল, রুপা রানী, দিপা রানী, ষষ্টী রানী, ঝর্না আক্তার, মোহনা আক্তার।
এ ব্যাপারে আনন্দ স্কুলের ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর (টিসি) বর্নালী বিশ্বাস বলেন আমি এসে ডি আর করা পেয়েছি। আমি কিছু জানি না।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ফারজানা নাসরিন বলেন আমি অবাক হয়েছি এমন প্রথম শ্রেনী হতে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা প্রক্সি দিতে এসেছে। তিনি বলেন ভূয়া পরীক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশী যারা এ কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য এ বছর পাচটি কেন্দ্রে আনন্দ স্কুলের মোট ৪৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এর মাঝে দুটি কেন্দ্রে ৪০ জন পরীক্ষার্থী ভূয়া বের হয়েছে। তবে অন্যান্য কেন্দ্রেও এরূপ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।