ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ বাজারে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করেচলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা। গত কয়েক দিনধরে তিনি কালীগঞ্জ বাজার নিয়মিত মনিটরিং করছেন। এতে করে সাধারন ক্রেতাদের মনে সস্বস্তি ফিরে আসতে দেখাগেছে। কালীগঞ্জ বাজারে ছোট - বড়, খুচরা - পাইকারী মিলিয়ে প্রায় কয়েকশ দোকান রয়েছে। বিশেষ করে মুদিদোকান, কাঁচাবাজার, পাইকারী বাজার মনিটরিং করছেন তিনি। দোকান গুলিতে মূল্য তালিকার বোর্ড দেয়া আছে কিনা, না থাকলে দোকান মালিকদের মূল্য তালিকার বোর্ড দেবার পরামর্শ প্রদান করছেন তিনি। আর থাকলেও নিয়মিত দোকান মালিকেরা মূল্য তালিকার বোর্ডে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সঠিক মূল্য লিখছেন কিনা সেদিকেও নজর রাখছেন তিনি। বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে তিনি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবেন বলে জানান। এরইমধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলার বাজার ও চাপরাইল বাজার মনিটরিংয়ে গিয়েছিলেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলার সব বাজারে মনিটরিং এ যাবেন ও মনিটরিং ব্যবস্থা যোরদার করবেন বলে জানান। বাজারে কেউ অতিরিক্ত দামে মালামাল বিক্রি করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু কালীগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড়ো মিলিয়ে কয়েকশ বাজার থাকলেও সেই বাজার গুলিতে নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। গ্রামের বাজার গুলিতে পাইকরি মুদিখানার দোকানে বেশির ভাগ কোন মূল্য তালিকার বোর্ড চোখে পড়েনি। তাই গ্রামের মানুষ গুলি জানেও না আজ কোন জিনিষের কত দাম। এর ফলে নিয়মিত ঠকেই চলেছেন গ্রাম গঞ্জের মানুষ। গ্রামের মানুষগুলির দাবি গ্রামের বাজার গুলিতে নিয়মিত মনিটরিং এর ব্যবস্থা করলে সঠিক দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে পারবে গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ গুলি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্না রানী সাহা জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। বাজার কমিটির নেতাদের সাথে কথা হয়েছে প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা বাধ্যতা মূলক রাখতে হবে। যদি কোন দোকানদার তার দোকানে মূল্যতালিকা না রাখেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো। উপজেলার সবকয়টি বাজারে আমরা নিয়মিত মনিটরিং এর ব্যবস্থা জোরদারকরেছি।