আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ডুমুরপোতায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের স্বামী ও শাশুড়ি স্বপ্না মন্ডল (২০) কে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
উপজেলার ফটিকখালী গ্রামের মৃত পরিমল মন্ডলের কন্যা স্বপ্না মন্ডলের সাথে এক বছর আগে বিয়ে হয় ডুমুরপোতা গ্রামের মৃত সনাতন সরকারের পুত্র প্রশান্ত সরকারের সাথে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে স্বামী-শ্বাশুড়ি স্বপ্নাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও তার উপর নির্যাতন শুরু হতো। নিহত স্বপ্নার কাকা শ্যামল মন্ডল জানান, যৌতুক লোভি প্রশান্ত ও তার মা সবিতা সরকার তাদের মেয়ের উপর একাধিকবার যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করেছে। যৌতুকের দাবী পুরন করা হলেও তারে লোভ মেটেনি। তারপর আমরা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাকে স্বামীর বাড়িতে থাকার চেষ্টা চালিয়ে এসেছি। বুধবার একই ভাবে যৌতৃকের দাবী করে তারা। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে এদিন দিবাগত ভোররাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য তারা স্বপ্নার মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার শুরু করে। তার শরীরের একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে এস আই বিল্লাল কৈফিয়ত তলব করে ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন, লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আশাশুনি থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নিহত গৃহবধূর স্বামী প্রশান্ত সরকার ও শ্বাশুড়ি সবিতা সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।