বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২২ হাজার ৫১০ কৃষকের মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৩৪৫ জন কৃষক সরকারের কাছে সরাসরি ধান বিক্রির সুযোগ পেলেন। লটারির মাধ্যমে ২৩৪৫ জন কৃষকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৫ টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ২২ হাজার ৫১০ কৃষক আমন চাষ করেছেন। শনিবার দুপুর ১২ টায় পরিষদ হলরুমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে লটারি করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আখতার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত, শ্রাবণী আখতার বানু, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নূর মোহাম্মদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান, পরিদর্শক আরেফিন হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রচার না থাকায় লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচিত করার বিষয়টি অনেকেই জানতে পারেননি।
তৈয়বপুর গ্রামের কৃষক আজমল হোসেন বলেন, তিনি কোনো বছরই সরকারিভাবে ধান বিক্রি করার সুযোগ পান না। কখন সময় হয় বুঝতেই পারেন না। এবারও তিনি জানতে পারেননি কবে থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান জানান, কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে লটারি করা হয়েছে। চাহিদা অনুসারে লটারি বিজয়ী কৃষক প্রতি ২৬ টাকা কেজি দরে এক টন ধান দিতে পারবেন সরকারি খাদ্য গুদামে।