কুড়িগ্রামের পিছিয়ে পড়া চিলমারী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে উপজেলার ৯৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক, মাইনর, রুটিন মেইন্টেন্যান্স,স্লীপ ও ওয়াশ ব্লক এর জন্য ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের কাজ শেষের পথে আবার কিছু সংখ্যক বিদ্যালয়ের কাজ সবেমাত্র শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৃশিংভাঁজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ময়নারখামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,চর বৈলমনদিয়ার খাতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,আম্বার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কেডিওয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বজরা দিয়ারখাতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, থানাহাট ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বালাবাড়ীহাট ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,খরখরিয়া ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,জোড়গাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,এর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি বিদ্যালয় গুলোর কাজ চলমান রয়েছে।এ ব্যাপারে নৃশিংভাঁজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিতারাই জামিলা আকতারি জানান, সরকার চিলমারী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বিদ্যালয় প্রতি যে পরিমান বরাদ্দ দিয়েছে যাহা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। আমার বিদ্যালয়ে টাইলস্ লাগানো,বুক সেল্ফ ক্রয়, দেয়াল প্লাস্টার, টিন লাগানো,ম্যাপ ও ম্যাজিক পেন ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য খাতা ক্রয় করা হয়েছে। রমনা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী জানান, আমার বিদ্যালয়ের মেরামতের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। মাঠে পানি জমে থাকায় কাজ শুরু করতে দেরী হয়েছে। তবে কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমদাদুল হক আনছারী জানান, সরকারের পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়নে উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষক আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপরে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ সরকার বিদ্যালয়ের কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।