আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন তিনটি বেকারী ও দুই ক্রোকারিজ দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। শনিবার দুপুরে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন আমতলী পৌরসভার মিঠা বাজার এলাকার বিসমিল্লাহ বেকারী, বরিশাল বেকারী ও রিয়াজ ফুড টেডার্স এবং এবিএম চত্ত্বরে দুইটি ক্রোকারিজের দোকানে অভিযান চালায়। ভোক্তা অধিকার আইনের ৫১ ধারায় তিনটি বেকারীর প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা এবং দুইটি ক্রোকারিজ দোকানের প্রত্যেককে এক হাজার করে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনের ৫১ ধারায় তিনটি বেকারীকে ১৫ হাজার টাকা এবং দন্ডবিধি ২৯১ ধারায় দুইটি ক্রোকারিজ দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আমতলীতে জরাজীর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্প, ভূমিহীনদের মানবেতর জীবন যাপন
আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি।।
‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারি উদ্যোগে ২০১২ সালে উপজেলার চাওড়া ইইনয়নের পশ্চিম ঘটখালী গ্রামে ঘটখালী -২ আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৬টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। পরে তা ৮০টি ভূমিহীন পরিবারের কাছে হস্তান্তরের করা হয়। বর্তমানে ওই বাড়িগুলোতে বসবাসরতরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের দুরবস্থার যেন শেষ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ঘরগুলো নির্মাণের পর অবস্থা অনেকটাই খারাপ। বিল্ডির ছাঁদ ধ¦সে বৃষ্টির পানি পড়ছে। বসবাসরতরা ছাদের নিচে পলিথিন দিয়ে কোনো রকম বৃষ্টির পানি থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন।
একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘড়গুলো এখন বসবাসের উপযোগী নয়। বৃষ্টি এলেই ঘরে পানি পড়ে বিছানাপত্র ভিজে যায়। এছাড়াও রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ পানির সঙ্কট, নাজুক স্যানিটেশন ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থারও বেহাল অবস্থা। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছে বারবার গেলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার।
আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিবাসীরা আরো জানান, ব্যারাকের মধ্যে ৮টি গভীর নলকুপ ছিল তার মধ্যে ৫টি নষ্ট হয়েগেছে। অধিবাসীদের চলাচলের পথগুলো দিয়ে তারা এখন চলতে পারেনা। অধিবাসীরা, ৫টি গভীর নলকুপ স্থাপন, কবরস্থান, পুকুরগুলো খননের দাবী জানিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন, আশ্রায়ণ প্রকল্পটির সমস্যা চিহ্নিত করে উপজেলাপ্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে মন্ত্রনালয় পাঠানো হয়েছে। এবং পানির সমস্যার জন্য একটি টিউবয়েল বসানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন।