বগুড়া সহ উত্তরের জনপদে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবির তৎপরতা চলছেই। একই সাথে থেমে নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী।এমনি ঘটনায় আবারো বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এলআইসি শাখা ও বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ ইউনিটের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে পুরাতন জেএমবির ৪ শীর্ষ নেতাকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র,বিপুল পরিমান বোমা তৈরীর উপকরন, সরঞ্জামাদী চাপাতি,বিষ্ফোরক।
এরা হল যথাক্রমে পুরাতন জেএমবির রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দাওয়াতি প্রধান আতাউর রহমান । তার বাড়ি রংপুর জেলার কাউনিয়ায়। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বায়তুল মাল প্রধান মিজানুর রহমান নাহিদ। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায়। গাইবান্ধা জেলার এহসার সদস্য জহুরুল ইসলাম সিদ্দিক । তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার রামচন্দ্রপুর সোনারপাড়া।বগুড়া জেলার দায়িত্বশীল গায়েরে এহসার সদস্য মিজানুর রহমান । তার বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়।
এই গ্রেফতার অভিযানের বর্ননা দিয়ে রোববার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম (বার) সাংবাদকদের এ জানান,পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স এর এলআইসি শাখার সদস্য এবং বগুড়া ডিবির সদস্যরা পুর্বে পাওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুরতলা বাস স্টপেজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছিল। মাঝরাতে ওই স্থানে শ্রী কনক নামের এক ব্যাক্তির মালিকানাধীন কনক টেলিকম সার্ভিসের সামনে সন্দেহভাজন কয়েকজন জড়ো হলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র গুলি বিষ্ফোরক ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জাম পাওয়া গেলে তাদের জঙ্গী পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা পুরাতন জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলি সহ ১টি পিস্তল ,১ কেজি বিষ্ফোরক, ৮টি গ্রেনেড বডি, ১০টি গ্রেনেড তৈরীর সার্কিট বডি সহ গ্রেনেড তৈরীর বিপুল সরঞ্জাম চাপাতি ও চাকু পাওয়া যায়।
সংবাদ বিফ্রিংএ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র বিষ্ফোরক আইনে মামলা করা হবে এবং রোববারই আদালতে পাঠিয়ে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।