ফুটফুটে এক নবজাতক শিশু। জন্মের পর পরই মায়ের কোলে ঠাই হয়নি। শনিবার রাতের আঁধারে রাস্তার ভাগাড়ে কে বা কারা তাকে ফেলে রেখে দিয়েছিল। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে শিশুটি তুলে রাতেই পাঠিয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু বিধির কি নিয়তি পরদিন রোববার সকালে শিশুটিকে চলে যেতে হয়েছে পরপারে। হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ষাটবাড়িয়া গ্রামে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হাসান জানান, ফুটফুটে চেহারার এক নবজাতক শিশুকে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার পর কেবা কারা মুকুল জোয়াদ্দারের বাড়ীর সামনে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। এ সময় পথচারীরা শিশুটির কান্নাকাটির শব্দ শুনে এগিয়ে আসেন। তারা দেখতে পান ফুটফুটে চেহারার শিশুকে ছেড়া কাপড়ের ওপর শোয়ানো রয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় থর থর করে কাঁপছে শিশুটি। শিশুটিকে দেখতে এলাকার মানুষের ভীড় জমে যায়। এমন অবস্থায় ওই গ্রামের হারুর অর রশিদের স্ত্রী শারভীনা খাতুন মিনি নিজের সন্তানের মত শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। পরে স্থানীয়রা এ খবরটি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার ওসি সহ পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তারা দেখতে পান ঠান্ডায় শিশুটি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় শিশুটির চিকিৎসার জন্য তারা রাতেই তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সকালে শিশুটির শাররিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ১০ টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হুসায়েন শাফায়েত জানান, শিশুটিকে শনিবার রাতে ঠান্ডা জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা চলছিল। রোববার সকালে শ^াসকষ্ট জনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় শিশুটিকে রেফার্ড করা হলে যশোরে নেবার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল আল হুসায়েন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধার পর কে বা কারা একটি নবজাতক শি কে রাস্তার পাশের্^ ফেলে গেছে এমন খবর পেয়ে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে যান। এরপর অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তির ব্যাবস্থা করেন। পরদিন রোববার শিশুটি মারা যায়। তিনি জানান, শিশুটির প্রকৃত পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।