নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পল্লীতে নবজাতক হত্যা লাশ গুম করার অভিযোগ উঠেছে নবজাতকের নানা ফৌজদার মিয়ার’র বিরুদ্ধে। জানাযায় দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মোঃ ফৌজদার মিয়ার কন্যা অবৈধ অন্তস্বত্বা মোছাঃ জেসমিন আক্তারকে বাকলজোড়া ইউনিয়নের জানিরগাঁও গ্রামের মৃত ইন্নছ আলীর পুত্র মোঃ কাজল মিয়া এর সাথে তরিগড়ি করে কৌশলে সময়খেপন না করে বিরিশিরি ইউনিয়নের কাজী’র সহকারী আঃ কাদিরের মাধ্যমে ইসলামি সরামতে কাবিনমূলে ৪ আগস্ট ২০১৯ ইং তারিখে বিয়ে দেন ফৌজদার মিয়া,যা জামাই কাজল এবং তার পরিবারের সদস্যরা অন্তসত্বার বিষয়টি কেউ জানতো না। কাজল মিয়া বৈধভাবে ঘর সংসার করতে থাকলে বিয়ের ৩ মাস ১৩ দিনের মাথায় গত ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ইং ভোররাতে ঐ দম্পত্তি অর্থাৎ জেসমিন আক্তার ছেলে সন্তান প্রসব করে। ঘটনার পর কাজলের মা মরিয়ম কোন উপায়ান্ত না পেয়ে জেসমিন এর বাবা ফৌজদার মিয়াকে মোবাইলফোনের মাধ্যমে খবর দেয়। ফৌজদার মিয়া যথারীতি ঐ বাড়ীতে উপস্থিত হওয়ার পর ছেলে মা মরিয়ম ফৌজদার মিয়াকে বলেন অবৈধ অন্তস্বত্বা মেয়েকে আমার ছেলের সাথে কারসাজি করে বিয়ে দিছেন এখন আপনার মেয়ে এবং নাতীকে নিয়ে যান,এই অবৈধ সন্তানের দায়ভার আমার ছেলে এবং আমি নিবনা। এ অবস্থায় নিরোপায় হয়ে ফৌজদার মিয়া ঘটনারদিন তার মেয়ে জেসমিন ও নবজাতক’কে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে এরপর থেকেই ঐ নবজাতক’কে আর খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা। জামাই কাজল এবং তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা সন্ধেহকরে বলছেন ফৌজদার মিয়া তার নবজাতক নাতী’কে হত্যাকরে গুম করে ফেলেছে। ঘটনার পর দু একদিন ফৌজদার মিয়ার মোবাইলফোন খোলা থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে,তাকেও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা ইনচার্জ দুর্গাপুর থানা মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ঘটনার কথা আমি শুনেছি জামাই কাজল মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেছে এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।