ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ছয়টি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সনদের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত ছিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় থেমে থেমে তারা শ্লোগান দিয়ে ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শরীফ এম আফজাল হোসেনের বিচার দাবি করে অবিলম্বে সনদ প্রদানের দাবি জানান। প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা ফটকের সামনে মিছিল করে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।
পরে খবর পেয়ে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করেন।
ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী পার্থ সাহা বলেন, তারা ইউনিভার্সিটি সফল ভাবে শিক্ষা গ্রহন করলেও তারা আজ পর্যন্ত কোনো সার্টিফিকেট পান নি। কোথাও চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পড়াশুনা শেষ করে সনদের অভাবে চাকুরির প্রতিযোগিতামূল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছি না। ফলে পরিবার ও সমাজের মানুষজনের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারছি না।
আইন বিভাগের অপর শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার বলেন, কথিত এ ইউনিভার্সিটির পড়তে এসে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো অনুমোদন না পাওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ প্রতারণামূলভাবে আমাদের ভর্তি করিয়েছেন। এতে ছয়টি ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন শেষ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তারা সনদ না পাওয়া পর্যনস্ত এ তালা খোলা হবে না।
ওই ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির বিষয়টি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শরীফ এম আফজাল হোসেনকে জানানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, সনদের দাবিকে ওই বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ।