স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শ্রীমঙ্গলের প্রতিথযশা সাংবাদিক আতাউর রহমান কাজলের সাংবাদিকতা জীবনের ২১ বছর পূর্তি আজ ২৮ নভেম্বর। ইতোমধ্যে তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতদঞ্চলের প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণী ও ইকো-ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড। স্বর্ণপদক গ্রহণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে।
কাজল ১৯৬১ সালের ১ জুন ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চপই গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত আখন্দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম ডা. শামসুল আরেফিন আখন্দ ও মা মরহুম রওশন আকতার বেগমের তৃতীয় সন্তান তিনি। কিশোরগঞ্জ জেলার নীলগঞ্জ হাজী মোমতাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাশেষে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করেছেন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে। অর্জন করেন প্রথম বিভাগ।
আতাউর রহমান কাজল ১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর সাংবাদিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। দৈনিক খবর’র শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে যে যাত্রা শুরু; তা আজো অব্যাহত। দীর্ঘ ২১ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে এখন তিনি অনেক পরিণত। পেশাগত দায়িত্বের জায়গায় মেধা ও মননে তিনি নিজের হাতে নির্মাণ করেছেন অনন্য এক উচ্চতা। দৈনিক প্রাইম, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক সকালের খবর, দৈনিক বর্তমান পত্রিকায় সফলতার সাথে কাজ করে মানুষের ভালবাসায় ঋদ্ধ হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ ২১ বছর ধরে এতদঞ্চলের প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণী ও ইকো-ট্যুরিজম নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন তৈরি করে মানুষের মধ্যে এসবের প্রতি গণসচেতনতা, উদ্ধুদ্ধকরণ ও মমত্ববোধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়া মানুষের জন্য কল্যাণকর বিষয়াবলী নিয়ে প্রতিবেদন/সংবাদ/ফিচার লিখেছেনÑ সাপ্তাহিক খবরের কাগজ, দৈনিক সংবাদ, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বণিক বার্তা, দৈনিক অর্থনীতি, দেশচিন্তা পত্রিকায়। এছাড়াও কাজ করেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এফএনএস২৪.কম, প্রাইম নিউজ.কম.বিডি, এডিটর বিডি২৪.কম, উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ.কম, এবিনিউজ২৪.কম, বাংলাদেশ অনলাইন২৪.কম, ফোকাসবিডি২৪.কম-এ। তিনি জিনিউজ৭১.কম-এ বিশেষ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক শ্রীভূমি, চায়ের দেশ, শ্রীমঙ্গল পরিক্রমা, মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ, মনুবার্তা এবং সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সচিত্র ক্রাইম ও সাপ্তাহিক টেমস সুরমা পত্রিকায় সাংবাদিকতার শুরুর সময় থেকে অনেক দিন কাজ করেছেন। টেমস সুরমা পত্রিকার মৌলভীবাজার ব্যুরো চিফ হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বর্তমানে কাজল বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল মোহনা টেলিভিশনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকায় শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
কাজল তার পেশাকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সম্পৃক্ত করেছেন প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণী, ইকো-ট্যুরিজম ও প্রকৃতিনির্ভর জনগোষ্ঠীর সাথে। গত ২১ বছর ধরে তিনি এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখে চলেছেন। তৈরি করেছেন অসংখ্য সংবাদ প্রতিবেদন ও টেলিভিশন সংবাদ। তিনি প্রকৃতি, পরিবেশ, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য ও ইকো-ট্যুরিজমবিষয়ক প্রতিবেদনসহ সৃষ্টিশীল অসংখ্য কাজের সাথে জড়িত। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের জাতীয় উদ্যান, ইকো-পার্ক, গ্রিন পার্ক নিয়েও তার বহু লেখা জাতীয় পত্রিকায় স্থান পেয়েছে। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত সংবাদ/ ফিচার/ প্রতিবেদনের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
একজন নিসর্গ চিন্তাবিদ, প্রকৃতিপ্রেমী, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য এবং ইকো-ট্যুরিজম লেখক হিসেবে কাজল গত ২০০৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি প্রতিবেদন/ফিচারভিত্তিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তার লেখালেখিতে বন্যপ্রাণী ও এর আবাসস্থল, প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, ও ইকো-ট্যুরিজম প্রভৃতি বিষয়ের গুরুত্ব উঠে এসেছে বিচিত্রভাবে। ফলে এগুলি সংরক্ষণের জন্য মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে গভীর মমত্ববোধ।
প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছেÑ আমার মাটি আমার দেশ, এই দেশে এই জনপদে, মেঘের দেশে শীতের দেশে, রৌদ্র-মেঘের হাতছানি, মেঘ-পাহাড়ের দেশে, হাওর-অরণ্যের দেশে, আমার শহর প্রাণের শহর, নিসর্গের শ্যামল প্রান্তরে, মাটির কাছে মানুষের কাছে, শ্রীমঙ্গলের ভ্রমণ গাইড, এই স্বপ্নের শহরে, সিলেটের ভ্রমণ গাইড, শ্রীমঙ্গলের মাটি ও মানুষ, আমার লেখাগুলো-১, মৌলভীবাজারের ভ্রমণ গাইড, পর্যটনে শ্রীমঙ্গল, ভ্রমণতথ্য মৌলভীবাজার জেলা, ট্রাভেলার্স গাইড শ্রীমঙ্গল, চা কন্যার জনপদে, শ্রীমঙ্গলের পথে প্রান্তরে, শ্রীমঙ্গল ট্যুরিস্ট গাইড, গাইড টু শ্রীমঙ্গল, শ্রীমঙ্গলের বন-বাদাড়ে, শ্রীমঙ্গলের বনাঞ্চলে এবং শ্রীমঙ্গলের শ্যামলিমায় (যৌথ প্রকাশনা)।
ইতোমধ্যে সাংবাদিক কাজলের লেখা কয়েকটি বই আমেরিকার লাইব্রেরি অব কংগ্রেস (খঙঈ) এ স্থান পেয়েছে। লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে বইগুলো সংরক্ষণও করা হয়েছে।
খুব ছোট্ট পরিসরে হলেও আতাউর রহমান কাজল পর্যটনকে জনপ্রিয় করার জন্য; শ্রীমঙ্গল তথা বৃহত্তর সিলেটে দেশি-বিদেশি পর্যটক, প্রকৃতিপ্রেমী, ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে, ইকো-ট্যুরিজম, প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, ইতিহাস, নিদর্শন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ, প্রকৃতির নিবিড় ভালবাসা-বন্ধন, প্রতিকুল-অনুকূল প্রতিবেশ, দেশের প্রাণীসম্পদ, বনজসম্পদ, নিসর্গ, পাহাড়, অরণ্য- এসব বিষয়ে এখনও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় সংবাদপত্রে বাইক্কা বিল আর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান নিয়ে অসংখ্য সচিত্র প্রতিবেদনের তিনিই অন্যতম স্রষ্টা। প্রকৃতির রতœভা-ার সমৃদ্ধ বৃহত্তর সিলেটের বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থানের মনোমুগ্ধকর বর্ণনা জাতীয় পত্রিকায় প্রথম তুলে ধরার কৃতিত্বও রয়েছে তার। এ অঞ্চলের মানুষ, তাদের জীবন-জীবিকা; সমস্যা ও সম্ভাবনাকে তিনি উপস্থাপন করেছেন সুনিপুণভাবে।
চা-বাগান, ঘন জঙ্গল, উঁচু-নিচু টিলা, লেবু-পান-আনারস-রাবার বাগান, সুবিস্তীর্ণ হাওর, লেকে সাজানো ঈর্ষণীয় সৌন্দর্যে প্রতিদিনই-মুহূর্তেই কোনো না কোনোভাবে অবগাহন করেন সাংবাদিক কাজল। কেননা শৈশব জন্মস্থান ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের চপই গ্রাম কিংবা ছাত্রজীবন নীলগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং দিনাজপুরে কাটলেও পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতার পুরোটাই কাটছে শ্রীমঙ্গলে। আর তাই প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, ইকো-ট্যুরিজম, বন্যপ্রাণী প্রভৃতি বিষয় নিয়ে নিরলসভাবে দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্রে ও টেলিভিশনে সচিত্র খবর, প্রতিবেদন, ফিচারসহ নানা আঙ্গিকে লিখে চলেছেন।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা আরও সোচ্চার হবো, প্রকৃতির প্রতি আমাদের মমত্ববোধ আরো গাঢ় হবে; সবুজ শ্যামল ধরাকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব থেকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম, প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে লেখালেখি অব্যাহত রাখতে সাংবাদিক কাজল অঙ্গীকারবদ্ধ।
সাংবাদিক কাজল ২০০০ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন আয়োজিত সিলেট বিভাগীয় ওয়ার্কশপ- ‘হিউম্যান রাইটস মোটিভেশন এ- অ্যাওয়ার্নেস’ ২০০০-এ অংশগ্রহণ করেন। ২০০৩ সালের ২৪-২৬ জুলাই সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত ‘টিচার্স এ- জার্নালিস্টস’ ট্রেনিং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘পেস্টিসাইডস এর নিরাপদ ব্যবহার’ সম্পর্কিত ট্রেনিং প্রোগ্রামে সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ নেন। ২০১০ সালের ৩-৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট, জার্নালিজম এ- কমিউনিকেশন আয়োজিত ‘রিপোর্টিং: ফোকাসিং এনার্জি সেক্টর’ ট্রেনিং প্রোগ্রামে সাফল্যের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ২৯ জুন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য সাংবাদিকতা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেন। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘হিউম্যান রাইটস রির্পোটিং’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীন গণতন্ত্র ও দলকে সুসংগঠিতকরণ’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
প্রগতিশীল; সংস্কৃতিমনস্ক আতাউর রহমান কাজল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন প্রথম শিশুশিল্পী হিসেবে মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। এরপর অনেক মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ দিনাজপুর পলিটেকনিকে পড়াকালীন দিনাজপুরের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব কাশি কুমার দাশ ঝন্টু’র রচনা ও নির্দেশনায় ‘নতুন বউ’ ও ‘স্বপ্œ’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। যা ১৯৮৫ সালে রংপুর বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত হয়।
সাংবাদিক কাজল ২০০৩ সালে থিয়েটার ভিশন সম্মাননা লাভ করেন। তিনি জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণী ও পর্যটনবিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট লাভ করেন। একই বছরের ১৪ এপ্রিল আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্মাননা ক্রেস্ট পান। একই বছরের ১৮ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলের বেসরকারি সংস্থা পাতাকুঁড়ি সোসাইটি কর্তৃক সাংবাদিক কাজলকে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও পর্যটনবিষয়ক সাংবাদিকতা এবং এসব গ্রন্থ প্রকাশের জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়। এছাড়াও ২০১২ সালের ৫ জুন বেস্টওয়ে বিশেষ সম্মাননা স্মারক এবং ২০১৩ সালের ৫ জুন জীববৈচিত্র্যবিষয়ক রিপোর্টিং-এর জন্য বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্মাননা ক্রেস্ট পান।
২০১৭ সালের ৪ জুন সাংবাদিক আতাউর রহমান কাজল ‘বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০১৭’ পদক পান। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বর্ণপদক, ৫০ হাজার টাকার চেক ও সনদপত্র গ্রহণ করেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা সৃষ্টির কাজে বিশেষ অবদান রাখায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় তাকে এ পদকের জন্য মনোনিত করেন।
কাজল ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, শ্রীমঙ্গল ইউনিটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবেরও একজন সিনিয়র কার্যকরী সদস্য। কাজল ভ্রমণবিলাসী, অনুসন্ধিৎসু ও মিষ্টভাষী। স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম গৃহিনী। তাঁর একমাত্র কন্যা এলিনা রহমান কাকলী এমবিএ করে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। তাঁর একমাত্র নাতনি নাজিফা মোহাম্মদ এবং তার জামাতা শেখ মোহাম্মদুল্লাহ নান্টু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত।