কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের একটি প্রাচীন পুকুর ভরাটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করে দিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের জগৎসাবাড়ি মোড় হতে ১ শত গজ দক্ষিণে জাফরাবাদ মৌজায় অবস্থিত ৮২ শতাংশের একটি আদিকালের বড় পুকুর কতক অসাধু ব্যক্তি ভরাট করে ফেলছিলো। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তানভীর আহমেদ প্রশাসন বরাবরে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন বলে জানান। তিনি জানান, বর্তমানে আদি পুকুরটির মাটি ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে। পুকুরটিতে সাধারণ মানুষের অযু গোসলের জন্য ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়ার দাবী জানান।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন বাপার কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন,পুকুরটিকে ভরাট করে ফেলায় পরিবেশের জন্য বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। জলাবদ্ধতা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়বে। তাই সরকারী ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরগুলো রক্ষায় আশু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
সূত্রমতে, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আদেশে বলা হয়,প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জনগণের আশ্রয়স্থল রক্ষা ও অগ্নি নির্বাপণে সহায়তা করতে কোনো অবস্থায় খাল, বিল,পুকুর- নালাসহ প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা যাবে না। জনস্বার্থে এর ব্যতিক্রম করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া নিজের মালিকানাধীন পুকুরও ভরাট করা যাবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুকুর ভরাটের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পুকুর ভরাট সামগ্রী নিয়ে এসেছি এবং পুকুর ভরাটের জন্য নিষেদ করেছি। ফলে পুকুর ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে।