কসবায় সরকারী ভাবে সরাসরী কৃষকের কাছ থেকে রোপা-আমন ধান ক্রয় শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা খাদ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়ন পরিষদে রোপা-আমন ধান ক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং পর্যন্ত চলবে ধান সংগ্রহ অভিযান। এ সময় কৃষক জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ১ টন ধান ক্রয় করেন উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষকের হাতে ধান ক্রয়ের চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান।
এদিকে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলা প্রশাসন লটারীর মাধ্যমে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের নিবন্ধনকৃত ২১শত কৃষকের মধ্য থেকে ৫২৬ জন কৃষককে নির্বাচিত করেন। প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ১ হাজার ৪০ টাকা মন ক্রয়মুল্য নির্ধারণন করেন এবং ১ হাজার ৫১ মেট্রিকটন রোপা-আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি কৃষকের কাছ থেকে ২টন করে ধান ক্রয় করা হবে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম, কাইমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইয়াকুব আলী ভূইয়া ও এলএসটি গোডাউন কিপার মোছা: নাজমুন্নাহারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, কসবা থানা কার্যলয়, কসবা পৌরসভা কার্যালয়, পানিয়ারুপ কমিউনিটি ক্লিনিক ও বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
রোপা আমন ধান ক্রয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন; সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান করা হবে। কোন মধ্যস্বতভোগী যাতে কৃষকদের কোন প্রকার হয়রানী না করতে পারে সেদিকে প্রশাসনের নজরদারী থাকবে। সুষ্ঠুভাবে এই রোপা-আমন ধান ক্রয় অভিযান সম্পন্ন করতে তিনি স্থানীয় জনগন, চাষী এবং মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম এর সভাপতিত্বে উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারদের উপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করাসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবেন।