নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থান ঠিক রেখে পুনঃখননের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ভূমিহীন কৃষকেরা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে মাইগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠ এলাকায় এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এলাকার কৃষকেরা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের অধীন মহাজন থেকে নলদী পর্যন্ত নবগঙ্গা নদী পুনঃখনন কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। এই সীমানা জরিপ অনুযায়ী নদী পুনঃখনন করলে এ এলাকার সাড়ে ৮ হাজার দরিদ্র পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাদের বাড়িঘর ও জমি হারাতে হবে। এ ক্ষেত্রে নবগঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থান ঠিক রেখে পুনঃখননের দাবি জানান তারা।
নবীর হোসেন মোল্যার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুস ছালাম খান, অ্যাডভোকেট আকরামুল ইসলাম আকরাম, ফরিদ আহম্মেদ মিঠু, বেলাল সানি, সৈয়দ খায়রুল আলম, সাথী তালুকদার, শেখ লায়েক আলী, মহসিন মোল্যা, বিল্লাল খন্দকার, সজল আহম্মদ টুলু, বরকত খন্দকার প্রমুখ।
বক্তারা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপ অনুযায়ী নবগঙ্গা নদী পুনঃখনন করলে ১০টি মসজিদ, ৫টি কবরস্থান, ৩টি শ্মশান, ৫টি মন্দির, ২টি ক্লাব ও ৯টি ব্রিজসহ সাড়ে ৮ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আরএস রেকর্ড অনুয়ায়ী দেড় হাজার ভূমিহীনের জমি নদীতে যাবে। নদীর পাড়ে সরকারি ভাবে বন্দোবস্ত নেয়া পরিবারগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নবগঙ্গা নদীর তীরে মহাজন গুচ্ছগ্রামে ৮৮টি পরিবার, মাইগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭০টি পরিবার ও বড়দিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৭০টি পরিবার বসবাস করছে। এসব পরিবার গৃহহীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানেওয়াজ তালুকদার বলেন, সরকারি এ প্রকল্পটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একনেকে পাশ হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণ করেছি। টেন্ডার এখনো হয়নি। ৩ শত কোটি টাকা বরাদ্দ হবে। সাধারণ মানুষ বা ভূমিহীনরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেভাবেই নদী পুনঃখননের কাজ করা হবে।