নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার শহর নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। মাশরাফির শহর নড়াইলে আগামী ৩ ডিসেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। শহর ও সম্মেলনস্থল জুড়ে ব্যাপক সাজ-সজ্জা, তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সভাপতি ও সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী মাঠে আছেন। কে পাবেন জেলা আ.লীগের শীর্ষ পদের নেতৃত্ব, তা দেখার অপেক্ষা আছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।
এবার সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন-জেলা আ.লীগের বর্তমান সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ^াস, আ.লীগ নেতা ফজলুর রহমান জিন্নাহ, গোলাম নবী, অচিন চক্রবর্তী, সৈয়দ আইয়ুব আলী, সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, সিদ্দিক আহম্মেদসহ আরো কয়েকজন নেতা।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মাঠে আছেন-জেলা আ.লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, আ.লীগ নেতা হাসানুজ্জামান হাসান, রাশিদুল বাসার ডলার ও কাজী বশিরুল হক বশিরসহ আরো কয়েকজন প্রার্থী।
সবাই যার যার অবস্থান থেকে ‘সভাপতি’ ও ‘সম্পাদক’ পদে চূড়ান্ত মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। শীর্ষ এই পদের দায়িত্ব পেলে দলকে আরো শক্তিশালী করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে সৎ, ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের জেলা আ.লীগের শীর্ষ পদে দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি জেলা আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সুবাস চন্দ্র বোস সভাপতি এবং নিজাম উদ্দিন খান নিলু সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। তবে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয় প্রায় এক বছর পর।
এবারের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এবং বিশেষ বক্তা থাকবেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চে বসবেন নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শহরের চেহারা যেন বদলে গেছে। শুধু জেলা শহর নয়, নড়াইলের লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায়ও এর প্রভাব পড়েছে। তোরণ, রঙিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টানানোসহ ব্যাপক সাজ-সজ্জা করা হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার লোক সমাগমের আশা করছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ সফল ও সার্থক করতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানস্থলে সিসি ক্যামেরাসহ থাকছে পুলিশ কন্ট্রোলরুম।