দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২৯ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন দুলছে। গেল বোরো মওসুমে ধান চাষ করে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমন ধান চাষ করেছে। তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই কৃষক এবার রেকর্ড পরিমাণ জমির ধান কাটার সোনালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে সংশয়ে রেয়েছে কৃষক। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত বীররগঞ্জ উপজেলায় এবার কৃষক ২৯ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। সম্ভাব্য উৎপাদনের পরিমাণ ধান ১৩৫৯২৫ মেঃটন, সম্ভব্য মোট উৎপাদনের পরিমাণ চাউল ৯০৬১৫ মেঃটন। এবার বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে আবাদকৃত জমির পরিমাণ ১নং শিবরামপুর ২৭৫২, ২নং পলাশবাড়ী ২৬০১, ৩নং শতগ্রাম ২৬৪৫, ৪নং পাল্টাপুর ২৬২৫, ৫নং সুজালপুর ২৭৬৭, ৬নং নিজপাড়া ২৭৬৬, ৭নং মোহাম্মদপুর ২২৫০, ৮নং ভোগনগর ২৭৩৬, ৯নং সাতোর ২৮২০, ১০নং মোহনপুর ২৪৯৬ ও ১১নং মরিচা ইউনিয়নে ২৭৭২। অধিকাংশ জমিতে কৃষক স্বর্ণ জাতের ধান রোপন করেছেন। এ ছাড়া বিনা - ১৭, কাটারীভোগ, সুমন স্বর্ণ, ৪৯,৫১,৫২,৫৬,৭১,৭৫,ও ৮০ জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। অনেক জমিতে পোলায়ের ধান হিসেবে পরিচিত সুগন্ধি চিনি আতপ ধান চাষ করেছে। চিনি আতপ ধানের মূল্য সব সময় বেশি। বর্তমানে মাঠে মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। এবার ধানের রোগবালাই নেই বললে চলে। তবে মাঝে বাদামী গাছ ফড়িং পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। কৃষকরা আগাম ব্যবস্থা নেয়ায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়েনি। গেল বোরো মওসুমে কৃষক ধান চাষের খরচ ও কাটা মাড়াইয়ের মজুরি দিয়ে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তারপরও অনেক আশা-ভরশা নিয়ে নতুন উদ্যোমে একাধিক পরিমাণে আমনধান চাষ করেছে। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমন মওসুমে কৃষক লক্ষমাত্রের চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ করেছে। আর ৪/৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে।