কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে প্রকাশ্যে গাছের গুল ও টায়ার পোড়ানোর আয়োজন চলছে। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঁটা মালিক স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ এসব পরিবেশ পরিপন্থি কর্মকা- চালিয়ে আসছেন। এদিকে, ভাটাতে গাছের গুড়ি ও টায়ার জড়ো করতে শুরু করলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
সরেজমিনে, রোববার দুপুরে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের মিনাবাজার নামক স্থানে আলহাজ¦ মফিজল হকের মালিকাধীন এইচ এম বি (HMB) ব্রিকস এ গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে প্রকাশ্যে প্রজাতির গাছের গুল, কাঠ, বাঁশ ও টায়ার সংগ্রহ করে তা ভাটায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
ভাটা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,ভাটায় ইট তৈরি করতে কয়লার পাশাপাশি জ¦ালানী হিসেবে এসব কাঠ ব্যবহার করা হয়। শুধু কয়লা দিয়ে ইট পোড়ালে অনেক খরচ পড়ে। উপজেলার কয়েকটি ইট ভাঁটা ঘুরে একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। শুধু তাই নয় এসব ইট ভাটায় শিশু শ্রমিকদেরও কাজে লাগানোর অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইট প্রস্তুত ও ভাঁটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৩ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ¦ালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে তিনি অনধিক তিন বছরের কারাদ-ে দন্ডিত হবেন বা তিন লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। কিন্তু এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাঁটা মালিক মফিজল হক নির্বিঘেœ এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভাঁটা মালিক আলহাজ¦ মফিজল হক বলেন, আমার ভাটায় একটা কঞ্চিও পোড়ানো হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক কাজি সাইফুদ্দিন বলেন, কয়লার পরিবর্তে কাঠ বা অন্যকোন বস্তু পোড়ানো আইনত দন্ডনীয়। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর কাদের বলেন, ইট ভাটায় গাছ পোড়ানোর কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।