পাবনার সুজানগরে মহিলা শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে মহিলা শ্রমিকরা ছোট-খাট ভুলত্রুটির কারণে মালিক পক্ষের হাতে লাঞ্চিত হন বলেও একই অভিযোগে প্রকাশ।
উপজেলা শ্রমিক নেতা জালাল খাঁ জানান, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৮হাজার মহিলা শ্রমিকরা রয়েছে। এসব শ্রমিকরা বিভিন্ন অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি, হোটেল-রেঁস্তোরা, ইটের ভাঁটা এবং রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করে থাকেন। আর এসব শ্রমিকদের বেশীরভাগই স্বামী পরিত্যক্তা এবং বিধবা। এ ছাড়া স্বামীর সংসারে অভাব-অনটনের কারণেও অনেকে মহিলা শ্র্র্রমিকের কাজ করেন বলে আরেক শ্রমিক নেতা বাবলু প্রামাণিক জানান। সুজানগর পৌর শহরের একটি হোটেলে কর্মরত শ্রমিক রোকেয়া খাতুন বলেন আমি সারাদিন পুরুষ শ্রমিকের সাথে প্রতিযোগিতা করে কাজ করে থাকি। তাছাড়া অনেক সময় পুরুষ শ্রমিকরা কাজে ফাঁকি দিলেও আমরা মহিলা শ্রমিকরা ফাঁকি দেইনা। কিন্তু মাস শেষে একজন পুরুষ শ্রমিককে ১০/১২হাজার টাকা মজুরি দেওয়া হলেও আমাদের দেওয়া হয় মাত্র ৫/৬ হাজার টাকা। উপজেলার একটি ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিক শেফালী খাতুন বলেন ৫/৬হাজার টাকা মজুরীতে কাজ করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চলেনা। কিন্তু তারপরও নিরুপায় হয়ে কাজ করে থাকি। কেননা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করারও সুযোগ নেই। কারণ প্রতিবাদ করলেই লাঞ্চিত হতে হয় এমনকি বিনা নোটিশে চাকরি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে কম মজুরি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সুজানগর পৌর শহরের একটি হোটেল মালিক রফিক বিশ্বাস বলেন আমার হোটেলে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী দিয়ে কাজ করাই। কিন্তু তার পরও কেউ অভিযোগ করলে তার সাথে কথা বলে মজুরী নির্ধারণ করা হবে।