জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় এক বছরে ইউএনও আরাফাত রহমানের সৃজনশীলতায় উন্নয়নের ছোয়ায় পট পরিবর্তন।
দুর্নীতি মুক্ত ও সৃজনশীল উপজেলা প্রশাসন গঠন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীল পরিবর্তন, ভূমি অফিস দালাল ও দুর্নীতি মুক্তকরন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়ন সৃজন, সুষ্ঠভাবে ভিজিএফ, ভিজিডি বিতরণ, বহুমূখী ফসল উৎপাদন পরিমিত রাসায়নিক সার ও জৈব সারের ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে তাঁর সৃজনশীল বাস্তবমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাল্টে গেছে ক্ষেতলাল উপজেলার দৃশ্যপট ।
সরজমিনে ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান গত বছরের মে মাসে ক্ষেতলাল উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করেই তিনি উপজেলাকে সৃজনশীলতায় একটি উদাহারন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করেন। তারই ধারাবাহিকাতায় তিনি প্রথমেই উপজেলা প্রশাসনকে দুর্নীতি মুক্ত করে স্বচ্ছতা ও জŸাবদিহিতা নিশ্চিত করে সৃজনশীল প্রশাসনে পরিণত করেন। ভূমি অফিসে নামজারীর ক্ষেত্রে শতভাগ দালাল ও দুর্নীতি মুক্ত করে সাধারন মানুষের হয়রানি বন্ধ করেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়ন সৃজনের মাধ্যমে তিনি শুদু ক্যাম্পাস নয় পুরো উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির বনায়ন সৃজন করেন। প্রশাসন ক্যাম্পাসে উন্নত জাতের নারিকেল চারা রোপনের মাধ্যমে শোভা বর্ধন করেন।
উপজেলার প্রান্তিক চাষিদের যুগোপযোগি আধুনিক ও লাভজনক পেষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি কৃষকদের বহুমূখী ফসল উৎপাদন, পরিমিত রাসায়নিক সার ও জৈব সারের ব্যবহারে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করনে তিনি নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে পুরো উপজেলার দৃশ্যপট পাল্টিয়েছেন এবং একটি অনুকরনীয় উদাহারন সৃষ্টি করেছেন।
মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চত করনে তিনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শনে গেছেন। শিক্ষক অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছেন। তার সুষ্ঠ তদারকি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে একটি মাইল ফলক।
এ ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, সন্ত্রাশ, মাদক, জুয়া, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান ভূয়শী প্রসংশার দাবিদার। এলাকাবাসী মনে করছেন তার এ সকল সৃজনশীল কর্মসূচীর মাধ্যমে মাত্র এক বছরের মধ্যেই ক্ষেতলাল উপজেলায় এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।